Berhampur

Berhampore Murder: ‘মেয়েটাকে তো নিয়ে যেতে পারলাম না’, মেস থেকে সুতপার জিনিস নেওয়ার সময় আক্ষেপ বাবার

২ মে ভরসন্ধ্যায় গোরাবাজার এলাকায় এই মেসের সামনেই নৃশংস ভাবে খুন হন বহরমপুর গার্লস কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুতপা চৌধুরী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২২ ০৩:২৮
Share:

ফাইল চিত্র।

মেসবাড়ি থেকে সুতপা চৌধুরীর শেষ স্মৃতিটুকু নিয়ে গেলেন তাঁর বাবা! মেয়ে খুন হওয়ার প্রায় কুড়ি দিন পর। রবিবার দুপুরে বহরমপুরের মেসবাড়িতে গিয়ে মেয়ে সুতপার ব্যবহার করা সমস্ত সামগ্রী নিয়ে যান স্বাধীন চৌধুরী। তবে সে সময়ও তাঁর আক্ষেপ মেটেনি। যাওয়ার সময় বলেন, ‘‘মেয়েটাকে তো নিয়ে যেতে পারলাম না... !’’

Advertisement

বহরমপুরের গোরাবাজার এলাকায় শহিদ সূর্য সেন রোডের এই মেসে থেকেই কলেজের পড়াশোনা করতেন সুতপা। এত দিন পর্যন্ত সুতপার সমস্ত জিনিসপত্র এই মেসেই রাখা ছিল। রবিবার দুপুরে মেসে আসেন সুতপার বাবা এবং তাঁর মামা। মেসের ঘরে সুতপার ব্যবহৃত বইখাতা, বিছানাপত্র-সহ অন্যান্য সামগ্রী একটি গাড়িতে তুলে নেন তাঁরা। বাড়ি ফেরার সময়ও সুতপার বাবার কণ্ঠে আক্ষেপের সুর। তাঁর কথায়, ‘‘কখনও ভাবিনি মেয়ের ব্যবহৃত জিনিসপত্র স্মৃতি হিসেবে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। মেয়েটাকে তো নিয়ে যেতে পারলাম না... অন্তত স্মৃতিটুকু থাক।’’

প্রসঙ্গত, ২ মে ভরসন্ধ্যায় গোরাবাজার এলাকায় এই মেসের সামনেই নৃশংস ভাবে খুন হন বহরমপুর গার্লস কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুতপা। তাঁকে খুনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীকে সমশেরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পর থেকে কয়েক দফা পুলিশি হেফাজত হয়েছে সুশান্তর। আপাততর বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে জেল হেফাজতে রয়েছে সে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement