বিধানসভা সূত্রে খবর, বৈঠকে স্পিকার কিছু না জানালেও, বৈঠকে হাজির হতে পারবেন না বিজেপি-র সাসপেন্ড হওয়া সাতজন বিধায়ক। তাঁরা হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গা,নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির গোস্বামী, পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়, ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মণ ওশিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।
বিধানসভার স্ট্যান্ডিং ও অ্যাসেম্বলি কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে পারবেন না সাসপেন্ড হওয়া বিজেপি বিধায়করা। ফাইল চিত্র।
জানুয়ারি মাসে কোভিড সংক্রমণ বেড়ে গেলে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার যাবতীয় কমিটি বৈঠক স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই আগামী ৬ এপ্রিল থেকে ফের বিধানসভার স্ট্যান্ডিং ও অ্যাসেম্বলি কমিটির বৈঠক শুরু হতে চলেছে। বৃহস্পতিবার ৪১টি কমিটির চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেই স্পিকার জানিয়ে দেন, আগামী ৬ এপ্রিল থেকে ফের বিধানসভার কমিটির বৈঠকগুলি শুরু হবে।
বিধানসভা সূত্রে খবর, বৈঠকে স্পিকার কিছু না জানালেও, বৈঠকে হাজির হতে পারবেন না বিজেপি-র সাসপেন্ড হওয়া সাতজন বিধায়ক। তাঁরা হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গা,নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির গোস্বামী, পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়, ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মণ ওশিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। কারণ প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, বাজেট অধিবেশনে তাঁদের সাসপেন্ড করেছিলেন স্পিকার। আর অধিবেশন যেহেতু মুলতুবি হয়ে গিয়েছে, সমাপ্ত হয়নি। তাই সেই সাসপেনশন এখনও বহাল রয়ে গিয়েছে। তাই বিধানসভার কোনও কাজেই তাঁরা অংশ নিতে পারবেন না।
এ বিষয়ে বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্যসচেতক মনোজ বলেন, ‘‘এ বিষয়ে বিধানসভা কর্তৃপক্ষ এখনও আমাদের কিছু জানাননি। তাই জেনে পরিষদীয় দলে আলোচনা করেই এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারব।’’ প্রসঙ্গত, সোমবার বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে বিধানসভায় শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়করা হাতাহাতির ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন। যেখানে চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের নাক ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। পাল্টা বিজেপি স্পিকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, তাদেরও ১০ বিধায়ক ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন। তার আগেই অধিবেশন কক্ষে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয় বিরোধী দলনেতা-সহ বিজেপি-র পাঁচ বিধায়ককে। আর রাজ্যপালের বক্তৃতার দিন গোলমালের ঘটনায় আগেই বিজেপি বিধায়ক মিহির ও সুদীপকে সাসপেন্ড করা হয় বিধানসভার অধিবেশন থেকে।