মনোজ টিগ্গাকে আশ্বাস দিলেন অমিত শাহ। ফাইল চিত্র
বিধানসভার বাইরে ভিতরে লড়াই জারি রাখতে বললেন। যা করার তিনি যথাসময়ে করবেন বলেও আশ্বাস দিলেন। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দল বিজেপি-র মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গাকে এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
সোমবার বিধানসভায় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়করা। দু’দলের বেশ কিছু বিধায়ক ওই ঘটনায় আহত হন। যাঁর মধ্যে ছিলেন বিজেপি-র মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ। সেই মনোজকে নিয়েইবৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে যান রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানেই পশ্চিমবঙ্গের দুই নেতার কাছ থেকে রাজ্যের বর্তমান অবস্থান প্রসঙ্গে জানতে চান শাহ। ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যু থেকে শুরু করে সম্প্রতি বীরভূম জেলার রামপুরহাটের বগটুইতে ঘটে যাওয়া গণহত্যা প্রসঙ্গে জানানো হয় শাহকে। সঙ্গে বিধানসভার সদ্য সমাপ্ত বাজেট অধিবেশনে তৃণমূল বিধায়কদের হাতে বিজেপি বিধায়কদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান মনোজ-সুকান্ত।
শাহের সঙ্গে বৈঠক শেষে আনন্দবাজার অনলাইনকে মনোজ বলেন, ‘‘বিধানসভায় আমাদের ওপর যেভাবে তৃণমূলের মন্ত্রী বিধায়করা হামলা করেছেন তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছি। আমার এবং সুকান্তদার সব কথাই তিনি মন দিয়ে শুনেছেন। কীভাবে আমাদের মেরে চিকিৎসার সুযোগটুকুও দেওয়া হয়নি তাও জানানো হয়েছে।’’ এরপরেই তিনি আরও বলেন, ‘‘অমিতজি আমাদের বলেছেন আপনারা বিধানসভার ভিতরে এবং বাইরে লড়াই করুন। আমাদের যা করার যথাসময়ে তা করব।’’
প্রসঙ্গত, সোমবার বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে বিধানসভায় শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়করা হাতাহাতির ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন। যেখানে চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের নাক ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। পাল্টা বিজেপি স্পিকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, তাঁদেরও ১০ বিধায়ক ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন। তার আগেই অধিবেশন কক্ষে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয় বিরোধী দলনেতা-সহ বিজেপি-র পাঁচজন বিধায়ককে। আর রাজ্যপালের বক্তৃতার দিন গোলমালের ঘটনায় আগেই বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী ও সুদীপ মুখোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করা হয় বিধানসভার অধিবেশন থেকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৃহস্পতিবারের মন্তব্যেরে পর বিজেপি পরিষদীয় দলে খুশির হওয়া। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে তাঁদের লড়াই শীর্ষ নেতৃত্বের নজরে আসায় নতুন করে সরকার বিরোধী আন্দোলনে নামতে তৈরি তাঁরা।