জয়ের শংসাপত্র নিয়ে সুস্মিতা দেব। নিজস্ব চিত্র।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে রাজ্যসভার সাংসদ হলেন তৃণমূলের সুস্মিতা দেব। সোমবার ছিল রাজ্যসভা উপনির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। তৃণমূল প্রার্থী সুস্মিতা ছাড়া আর কারও মনোনয়ন জমা না পড়ায়, তাঁকেই জয়ী বলে ঘোষণা করে দেওয়া হল। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় এসে নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের থেকে শংসাপত্র নিয়ে গেলেন তিনি। রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার ছেড়ে যাওয়া আসনে তাঁকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল।
২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে তৃণমূলের হয়ে জিতে রাজ্যসভায় যান মানস। কিন্তু এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে মানসকে সবং থেকে ফের প্রার্থী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটে জিতে গত ১০ মে রাজ্যের মন্ত্রী হন মানস। তার আগে ৬ মে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন। সেই আসনেই বিনা লড়াইয়ে জিতলেন অসমের শিলচর লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা। এই পদের মেয়াদ ২০২৩ সালের ২ এপ্রিল পর্যন্ত।
গত ১৬ অগস্ট কলকাতায় অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন সুস্মিতা। তার দিন কয়েক আগে তিনি কংগ্রেস ছাড়েন। ৯ সেপ্টেম্বর রাজ্যসভা উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আর ১৪ সেপ্টেম্বর সুস্মিতাকে মনোনয়ন দেওয়ার কথা ঘোষণা করে তৃণমূল।
রাজ্যসভার ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার পর সুস্মিতা বললেন, “তৃণমূলের সংসদীয় দল সংসদের বাইরে ও ভিতরে মোদী সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। আমিও সেই লড়াইয়ে সামিল হব।” উত্তর পূর্বাঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, “ত্রিপুরা এবং অসমের রাজনীতিতে বিজেপি যে ভাবে বিভাজন নীতি চালাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে আমাদের সরব হতেই হবে। অসমে একজন মৃত ব্যক্তির মৃতদেহের উপর একজন মানুষকে লাফাতে দেখা যাচ্ছে, তাতে দেশের মানুষ শিউরে উঠেছে। বিপ্লব দেবই হোন কিংবা হিমন্ত বিশ্বশর্মা, উভয়েই আরএসএস-এর অ্যাজেন্ডা পূর্ণ করছেন। মানুষ বা রাজ্যের উন্নয়নের কথা তাঁরা ভাবছেন না।”
আগামিকাল মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে শিলচর যাবেন সুস্মিতা। বৃহস্পতিবার ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচন। তৃণমূলের প্রার্থী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ভোটপর্ব মিটে গেলেই নিজের কর্মসূচি নিয়ে দলের সঙ্গে কথা বলবেন সুস্মিতা।