কাছাকাছি: সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। নিজস্ব চিত্র।
বাঁকুড়ায় দলীয় কর্মসূচিতে এসে বৃহস্পতিবার আদিবাসী পরিবারে মধ্যাহ্নভোজন সেরেছেন বিজেপির অন্যতম শীর্ষনেতা তথা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুক্রবার পুরুলিয়ায় এসে অমিত শাহের সেই কর্মসূচি নিয়ে কটাক্ষ করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
দিন পনেরো ধরে পুরুলিয়া শহরে সিপিএমের শাখা সংগঠনের কার্যালয় ‘কৃষক ভবন’-এ চলছে ‘শ্রমজীবী হেঁসেল’। স্বল্প দামে খাবার দেওয়া হচ্ছে সেখান থেকে। এ দিন তা ঘুরে দেখেন সূর্যকান্তবাবু। তার পরে অমিত শাহের কর্মসূচি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ওটা ভড়ং। হাথরাসে যখন কাণ্ড হল, তখন সে বাড়িতে কাউকে ঢুকতে দিয়েছিলেন (বিজেপি পরিচালিত উত্তরপ্রদেশ সরকার)? এখন এখানে এসে আদিবাসী বাড়িতে গিয়ে ফটোশুট করছেন।” বাঁকুড়ায় দলের কার্যকর্তাদের নিয়ে সভায় অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গে দু’শো আসনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের কটাক্ষ, ‘‘ওরা যা খুশি, টার্গেট করুক। বাংলার মানুষ বিজেপিকেই টার্গেট করে ফেলছে। লক্ষ্যভেদ করবেই।”
বিজেপির পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘হাথরাসের ঘটনা অবশ্যই নিন্দনীয়। আমার তার প্রতিবাদ করি। ওই ঘটনার পরে উত্তরপ্রদেশের বিজেপির রাজ্য সরকার সিবিআই তদন্তের অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু বাম আমলে মহিলাদের উপরে হওয়া অত্যাচারগুলির ক্ষেত্রে বিরোধীরা সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব হলেও বাম সরকার কিন্তু অনুমতি দেয়নি। বামেদের দ্বিচারিতা রাজ্যের মানুষ বুঝে গিয়েছেন বলেই তারা এখন পুরোপুরি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।”
এ দিন তৃণমূলেরও সমালোচনা করেছেন সূর্যকান্তবাবু। বাউড়ি, বাগদি, মতুয়াদের জন্য উন্নয়ন পর্ষদ গড়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূর্যকান্তবাবু বলেন, ‘‘পুরোপুরি ভাঁওতা দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগেও তিনি পাহাড়ে গিয়ে বিভিন্ন ভাষাভাষীদের জন্য উন্নয়ন পর্ষদ গড়েছেন। তাতে ন’বছরে কী লাভ হয়েছে?” তাঁর অভিযোগ, ‘‘বিজেপির মতোই এক ধরনের বিভাজনের রাজনীতি করছে তৃণমূল। দুই দলই সমান।’’
তৃণমূলের পুরুলিয়ার মুখপাত্র নবেন্দু মাহালি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের দাবিকে স্বীকৃতি দিয়ে সেই সম্প্রদায়গুলির আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পর্ষদ গড়ছেন। সম্প্রদায়গুলি তার সুফল পেতে শুরু করছে বলেই সূর্যবাবুদের গাত্রদাহ হচ্ছে।”