এসএসসির গ্রুপ সি এবং নবম-দশমের শূন্যপদে এখনই নিয়োগ নয়, রায় শীর্ষ আদালতের। ফাইল চিত্র।
চাকরি বাতিল সংক্রান্ত কলকাতা হাই কোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিচ্যুতরা। ওই মামলায় এসএসসির গ্রুপ সি এবং নবম-দশমের শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাই কোর্ট। আপাতত ৭ দিনের জন্য ওই শূন্যপদগুলিতে কোনও নিয়োগ করতে পারবে না এসএসসি। চাকরিচ্যুতরা শীর্ষ আদালতে তাঁদের চাকরি বাতিলের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে জানান, হাই কোর্ট তাঁদের বক্তব্যকে গুরুত্ব দেয়নি। তাই তাঁদের বক্তব্য শোনা হোক। নবম-দশমে ৬১৮ জন এবং গ্রুপ সি-র ৮৪২টি শূন্যপদে নিয়োগের প্রক্রিয়াও শুরু করেছিল এসএসসি। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং সুধাংশু ধুলিয়া এই নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই স্থগিতাদেশ দেন।
হাই কোর্টের নির্দেশে বাতিল হওয়া গ্রুপ সি-র ৮৪২টি পদে নিয়োগের নোটিস দিয়েছিল এসএসসি। গত শুক্রবার এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করে তারা। জানানো হয়, প্রথম দফায় ১০০ চাকরিপ্রার্থীর কাউন্সেলিং করা হবে। সম্প্রতি কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রুপ সি-র মোট ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। তার মধ্যে ৭৮৫ জনের চাকরির সুপারিশপত্র বাতিল করে দেয় এসএসসি। সেই সঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে সুপারিশপত্র ছাড়াই নিয়োগপত্র পাওয়া ৫৭ জনের চাকরি বাতিলের কথা বলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ওই নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হয়। এর পাশাপাশি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ওই শূন্যপদে ১০ দিনের মধ্যে ওয়েটিং লিস্ট থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। সেই নির্দেশ অনুসারেই নিয়োগের নোটিস দিয়েছিল এসএসসি।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টের নির্দেশে এসএসসি নবম-দশমে ৬১৮ জনের সুপারিশপত্র বাতিল করে। এই চাকরিপ্রাপকদের বিরুদ্ধে উত্তরপত্রে কারচুপি করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এসএসসি-র তরফে এই অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে নেওয়া হয়।