নম্বর বৃদ্ধির মামলায় হাই কোর্টে ক্ষমা চাইল এসএসসি। ফাইল চিত্র।
‘ভুল’-এর জন্য হাই কোর্টে ক্ষমা চাইলেন স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। নম্বর বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করার জন্য গত ১৭ মার্চ হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এসএসসির চেয়ারম্যানকে আদালতে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। আদালতের নির্দেশমতো শুক্রবার হাজিরা দিয়ে এসএসসি-র চেয়ারম্যান জানান, আদালতের নির্দেশ বুঝতে তাঁদের ‘ভুল’ হয়েছিল। মামলাটি পুরনো বলে গোটা পদ্ধতিতে কোনও ভুল রয়েছে কি না, তা এসএসসিকে খতিয়ে দেখতে বলে আদালত। প্রথমে এসএসসির কৌঁসুলিরা জবাব দিলেও বিচারপতির সামনে নিজের বক্তব্য রাখেন এসএসসির চেয়ারম্যানও। পদ্ধতিগত ত্রুটি দূর করার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তার কাজ কত দূর এগোল, তা আগামী শুক্রবার জানতে চেয়েছে উচ্চ আদালত। সূত্রের খবর, নির্দেশ না থাকলেও ওই দিন আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট তুলে দিতে পারেন এসএসসির চেয়ারম্যান।
২০১১ সালে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় পাঠ্যসূচির (সিলেবাস) বাইরে থেকে প্রশ্ন এসেছে অভিযোগ তুলে ৮৩ জন মামলা করেন। মামলাকারীদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী শামিম আহমেদ। গত বছর জুন মাসে মামলাকারীদের নম্বর দিতে নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। কিন্তু সেই নির্দেশ মানা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। গত শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি মান্থা মন্তব্য করেন, “এসএসসি কি কোর্টের সঙ্গে খেলা করছে? নিজেরা নিয়োগ করছে। আর নিজেরাই ভুল করছে। এমনকি আদালত নির্দেশ দেওয়ার পরও কার্যকর করা হচ্ছে না। এটা কি পরিকল্পিত?” তিনি আরও বলেছিলেন, “বলতে কোনও দ্বিধা নেই যে, একটা প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নিয়ে এরা খেলা করেছে।” তার পরই শুক্রবার এসএসসির চেয়ারম্যানকে আদালতে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা। কেন কোর্টের নম্বর দেওয়া সংক্রান্ত নির্দেশ মানা হয়নি, তা তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বিচারপতি মান্থা তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন, এসএসসির প্রতিটি পদক্ষেপ সন্দেহজনক। তার পরই এসএসসির উদ্দেশে ভর্ৎসনার সুরে তিনি বলেছিলেন, “আপনারা ভেবেছেন কী? প্রয়োজনে সব নিয়োগ খারিজ করে দেব। আপনাদের সব নিয়োগে সন্দেহ রয়েছে। আদালতের নির্দেশের উপর এ ভাবে চালাকি করলে কড়া পদক্ষেপ করতে বাধ্য হব।”