Teacher Recruitment Scam Case

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ২ মার্চ দেওয়া নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, একই মামলায় সিবিআই এবং ইডিকে কেন যৌথ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল? একই সঙ্গে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়ার কী প্রয়োজনীয়তা, তা-ও জানতে চেয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি ও কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৩ ১৮:৩৮
Share:

কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। — ফাইল ছবি।

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির একটি নির্দিষ্ট মামলায় তদন্ত করতে পারবে না এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এবং সিবিআই। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement

সু্প্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, একই মামলায় সিবিআই এবং ইডিকে কেন যৌথ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল? একই সঙ্গে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়ার কী প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তা-ও জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত। আগামী শুনানিতে সিবিআই এবং ইডিকে এ বিষয়ে হলফনামা জমা করতে হবে।

টিনা মণ্ডল এবং ১৮৬ জন প্রার্থী প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে গত ২ মার্চ হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সিবিআই এবং ইডির যৌথ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি রায় দিয়েছিলেন, ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০২০ সালের নিয়োগপ্রক্রিয়া নিয়ে তদন্ত করবে সিবিআই এবং ইডি। নতুন এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করতে হবে। সরকারের অধীনে থাকা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে। সেই সময় পর্ষদের সভাপতি ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। তিনি এখন জেল হেফাজতে।

Advertisement

কলকাতা হাই কোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন বিধায়ক মানিক এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই শীর্ষ আদালত বুধবার জানিয়েছে, আপাতত ওই নির্দেশে স্থগিতাদেশ থাকছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে, তদন্তের শুরুতেই দুই সংস্থার একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীতা কী রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement