শহিদ মিনার চত্বরে ছাত্র-যুব সমাবেশ তৃণমূলের। সেখানে প্রধান বক্তা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় কেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না? শহিদ মিনারের মঞ্চ থেকে এই প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার শহিদ মিনার চত্বরে ছাত্র-যুব সমাবেশ তৃণমূলের। সেখানে প্রধান বক্তা অভিষেক। যেখানে সভা হচ্ছে, সেখান থেকে একটু দূরেই মঞ্চ বেঁধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন বর্ধিত হারে বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবি করা রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। সেখানে অভিষেক বলেন, ‘‘যে বিপুল সংখ্যক মানুষ আজ শহিদ মিনারের নীচে এই মঞ্চে রয়েছেন, তার তিন গুণ মানুষ রাস্তায় রয়েছেন। আমি ভেবেছিলাম, সভা শুরুর আগে শহিদ মিনারের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে সভা শুরু করব। কিন্তু হাই কোর্টের বাধ্যবাধকতা মেনে এই সভা করতে হচ্ছে।’’ এর পর শহিদদের উদ্দেশে সম্মানজ্ঞাপন করে অভিষেক বলেন, ‘‘বাংলার প্রতি ধারাবাহিক লাঞ্ছনা এবং বঞ্চনা হচ্ছে। যারা গেল গেল রব তুলেছিল, বলেছিল, তৃণমূল দুর্বল হচ্ছে, তাদের চোখে আঙুল দিয়ে বলে দিতে চাই দিনের পর দিন তৃণমূল শক্তিশালী হচ্ছে।’’
অভিষেকের মুখে শোনা যায় এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতি মামলার কথা। বলেন, ‘‘আমরা চাই যেখানে দুর্নীতি রয়েছে, শাস্তি হোক। যেখানে অভিযোগ রয়েছে, তদন্ত হোক। কিন্তু ‘পিক অ্যান্ড চুজ়’ হবে না। যদি এসএসসিকাণ্ডে প্রসন্ন রায় থেকে দিলীপ ঘোষের বাড়ি থেকে দলিল উদ্ধার হয়, কেন দিলীপ ঘোষের ‘কাস্টোডিয়াল ইন্টারোগেশন’ হবে না? বিজেপি করলে আইন আলাদা?’’
অভিষেকের অভিযোগ, তাঁরা সভা করতে গেলে সব সময় আইনি জটিলতা তৈরি হয়। বলেন, ‘‘এক বিচারপতি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে বলছেন, আমি রুল জারি করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠাতাম। আর সেই বিচারব্যবস্থায় সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের যখন আইনমন্ত্রী কিরেন রিজেজু বলছেন, ‘অ্যান্টি-ইন্ডিয়া গ্যাং’য়ের সদস্য, তখন বিচারপতিদের মুখে কুলুপ! বিজেপি যখন কিছু বলে তাদের জন্য আইন এক, তৃণমূলের জন্য আইন আর এক?’’
অভিষেক তাঁর দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এ-ও বলেন, ‘‘তৃণমূল একমাত্র দল যারা দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে। আমরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ৬ দিনের মাথায় সাসপেন্ড করেছি। মন্ত্রিসভা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দিয়েছি। একাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছি। তাই মানুষের কাছে যখন যাবেন বুক ঠুকে তৃণমূলী হিসেবে যাবেন।’’