Primary Recruitment Case

জামিন চাইতে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন মানিক, হাই কোর্টেই ফিরিয়ে দিল শীর্ষ আদালত

নিয়োগ মামলায় জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানিক। তাঁর পুত্র সৌভিক ভট্টাচার্যকে জামিন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টই। তবে মানিকের স্ত্রী হাই কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২৪ ১১:২২
Share:

মানিক ভট্টাচার্য। —ফাইল চিত্র।

কলকাতা হাই কোর্টে জামিনের আবেদনের সুরাহা না হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। তবে তাঁর আবেদনের সুরাহা হল না সুপ্রিম কোর্টেও। সেখান থেকেও তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মামলাটি কলকাতা হাই কোর্টে ফিরিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

Advertisement

নিয়োগ মামলায় জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানিক। একই মামলায় তাঁর পুত্র সৌভিক ভট্টাচার্যকে জামিন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টই। সেখানে নতুন করে জামিনের আবেদন জানান মানিক। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বেলা ত্রিবেদীর বেঞ্চে শুক্রবার মামলাটির শুনানি হয়। সুপ্রিম কোর্টে জামিন চাইতে এসে মানিক বেশ কিছু নতুন নথি জমা দিয়েছিলেন। যা আগে হাই কোর্টে জমা দেওয়া হয়নি।

শীর্ষ আদালত মানিকের আইনজীবীকে নতুন করে কলকাতা হাই কোর্টেই জামিনের আবেদন করতে বলেছে। সেখানেই এই মামলার শুনানি চলবে। ইডির আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন, মানিকের মামলা হাই কোর্টে ফেরত পাঠানো হলে তাদের কোনও আপত্তি নেই।

Advertisement

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ‘দুর্নীতি’ মামলায় ২০২২ সালে মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। কলকাতা হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে অপসারণের নির্দেশও দিয়েছিলেন। একই মামলায় এর পর মানিকের স্ত্রী এবং পুত্রকেও হেফাজতে নেওয়া হয়। মানিকের স্ত্রী শতরূপা হাই কোর্ট থেকেই জামিন পেয়ে গিয়েছিলেন। তবে তাঁর পুত্র সৌভিক সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পান। কিন্তু মানিকের নিজের মামলা ফের হাই কোর্টে ফেরত গেল।

প্রাথমিক মামলায় অভিযোগ, ৩২৫ জন প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষায় ফেল করা সত্ত্বেও চাকরি পেয়েছেন। তাঁদের কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা করে নিয়েছেন মানিক। এ ছাড়া ১০ জন পরীক্ষার্থীকে পাশও করিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। কিছু দিন আগে মানিককে বিচারভবনে হাজির করানো হয়েছিল। সেখানে সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি দাবি করেন, প্রাথমিকের মামলায় ইডি কোনও তদন্তই করেনি। যে ৩২৫ জন ফেল করা ছাত্রের চাকরি পাওয়া নিয়ে অভিযোগ, তাঁরা আদৌ ফেল করেছিলেন কি না, ইডির কাছে সেই সংক্রান্ত তথ্য নেই। ওই প্রার্থীদের রেজাল্টও দেখতে চেয়েছিলেন মানিক। তাঁর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, তাঁরা কেবল আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করছেন। নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে সিবিআইয়ের কাছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement