Primary DLed case

ডিএলএড মামলা: কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায় খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, নিয়োগ সিঙ্গল বেঞ্চের রায় মেনেই

শুক্রবার বিচারপতি পিএস নরসিমহা এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ জানায়, বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করা হচ্ছে। তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের রায় মেনেই নিয়োগ করা যাবে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৫ ১২:৩৩
Share:

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

প্রাথমিকের ডিএলএড মামলায় হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায় খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। শুক্রবার বিচারপতি পিএস নরসিমহা এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ জানায়, বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করা হচ্ছে। তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের রায় মেনেই নিয়োগ করা যাবে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ১১,৭৫৮ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় পর্ষদ। সেই সময় প্রথম বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তারা জানায়, যাঁরা চলতি শিক্ষাবর্ষে ডিএলএডের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তাঁরাও নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন। পর্ষদের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বর হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদের সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দেন। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, ২০২০-২২ শিক্ষাবর্ষের প্রার্থীদের কোর্স শুরু হয়েছে ২০২০ সালের জুন মাসে। তাঁদের দু’বছরের কোর্স সম্পূর্ণ হবে ২০২২ সালের জুন মাসে। অর্থাৎ, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারির আগেই তাঁদের সকলের চূড়ান্ত সেমেস্টারের পরীক্ষা হয়ে যাবে। তাই ওই শিক্ষাবর্ষের প্রশিক্ষণরত প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার অধিকার রয়েছে। তবে ওই প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে সিঙ্গল বেঞ্চ নির্দিষ্ট করে কোনও নির্দেশ দেয়নি।

Advertisement

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই নির্দেশ এবং পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দেয় হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। গত বছর এপ্রিলে রায় ঘোষণা করে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, জাতীয় শিক্ষক শিক্ষণ পর্ষদ (এনসিটিই)-এর নিয়ম অনুযায়ী, শিক্ষক হতে গেলে ন্যূনতম শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে এনসিটিই-র নিয়ম মানা হচ্ছে না। কারণ, খাতায়কলমে ২০২২ সালের জুন মাসে কোর্স সম্পূর্ণ হলেও ওই সময়ের মধ্যে প্রার্থীরা শংসাপত্র পাবেন না। ওই বছর নভেম্বরে শংসাপত্র দেওয়া হবে। ফলে শংসাপত্র ছাড়া তাঁদের যোগ্য বলে বিবেচিত করা করা যায় না। অন্য দিকে, ডিভিশন বেঞ্চে মামলা চলাকালীন নতুন বিজ্ঞপ্তি দেয় পর্ষদ। সেখানে সম্পূর্ণ প্রশিক্ষণরতদের সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়। ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান ওই শিক্ষাবর্ষের ডিএলএড প্রশিক্ষণরতদের একাংশ। সেই মামলারই শুনানি ছিল শুক্রবার। সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে গেল হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের সেই নির্দেশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement