ফাইল চিত্র।
একুশ মাস পরে সুপ্রিম কোর্ট বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থা টাওয়ার গোষ্ঠীর কর্ণধার রামেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের জামিন খারিজ করে দিল। গত মঙ্গলবার বিচারপতি মোহন এম শান্তনাগৌড়ার এবং বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ রামেন্দুর বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের তোলা যাবতীয় অভিযোগ মেনে নিয়েছেন।
সিবিআই সূত্রের খবর, টাওয়ার গোষ্ঠী পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা থেকে দেদার টাকা তুলেছিল। সিবিআই টাওয়ার গোষ্ঠীর ২৫৫ কোটি ৯১ লক্ষ টাকার হদিস পেয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ১৬ কোটি টাকা আমানতকারীরা ফেরত পাননি। নগদ টাকার হিসেব মেলেনি। ২০১৩-এর ১৫ মে বালাসোরের বালিয়াপাল থানায় অভিযোগ দায়ের করে সিবিআই। তদন্ত চলাকালীন ২০১৬-র ১০ মার্চ রামেন্দুকে গ্রেফতার করে তারা। টাওয়ার গোষ্ঠীর সম্পত্তি বিক্রি করে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়।
এর মধ্যেই ২০১৭-র ৯ মে অন্তর্বর্তী জামিন পান রামেন্দু। ২০১৮-র ১৫ ফ্রেব্রুয়ারি কটক হাইকোর্ট পাকাপাকি ভাবে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে। জামিনের আবেদনে রামেন্দুর আইনজীবীরা আদালতে বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার গঠিত বিচারপতি এস পি তালুকদার কমিটি অর্থ লগ্নি সংস্থার সম্পত্তি বিক্রি করে আমানতকারীদের টাকা ফেরাচ্ছে। রামেন্দু সেই কাজে সহযোগিতা করতে চান। কিন্তু গত ৮ অগস্ট চিঠি লিখে বিচারপতি তালুকদার সিবিআই-কে জানিয়ে দেন, টাওয়ার গোষ্ঠীর কোনও সম্পত্তি উদ্ধার করা যায়নি। এর পরেই সিবিআই সর্বোচ্চ আদালতে রামেন্দু-সহ টাওয়ার কর্তাদের জামিনের আবেদন খারিজের আবেদন জানায়।
সুপ্রিম কোর্ট রামেন্দুর জামিন খারিজ করার পরে সিবিআইয়ের এক কর্তার দাবি, ‘‘সিআইডি প্রধান রাজীব কুমারের জামিনকে চ্যালেঞ্জ করে যে আবেদন করা হয়েছে, তা-ও সর্বোচ্চ আদালতে উঠতে চলেছে। এই রায় সিবিআইয়ের আবেদনের পক্ষে সহায়ক হবে।’’