ছিলেন ফিকি-র এগ্জ়িকিউটিভ কমিটির সদস্য। রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গে যৌথ ভাবে স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানও গড়েছে পিয়ারলেস। সমাজসেবার স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৯ সালে তিনি পান পদ্মশ্রী।
সুনীল কান্তি রায়।
প্রয়াত পিয়ারলেস গোষ্ঠীর কর্ণধার সুনীল কান্তি রায়। এস কে রায় বলেই যিনি বাংলার শিল্পমহলে পরিচিত। রবিবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে পিয়ারলেস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় দীর্ঘদিন ভুগছিলেন। রেখে গেলেন স্ত্রী শিখা, পুত্র জয়ন্ত ও কন্যা দেবশ্রীকে।
পশ্চিমবঙ্গে শিল্পের অন্যতম পরিচিত মুখ এস কে রায়ের মৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শোকবার্তা, “রাজ্যে আর্থিক পরিষেবা, স্বাস্থ্য, আবাসন, হোটেল শিল্প সম্প্রসারণে ওঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।’’ শোকজ্ঞাপন করেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও।
জন্ম ১৯৪৪ সালের ৮ জানুয়ারি, কলকাতায়। বাবা রাধেশ্যাম রায়ের হাতে যে প্রতিষ্ঠানের (পিয়ারলেস) বীজ বপন হয়েছিল, তাকে মহীরূহে পরিণত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এস কে। বাবা চলে যাওয়ার পরে সংস্থার হাল ধরা দাদা বি কে রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ছিল অগাধ। এতখানি যে, ১৯৮৫ সালে দাদার মৃত্যুর পরেই পিয়ারলেসের হাল ধরা নিয়ে কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন তিনি। কিন্তু তার পরে সাড়ে তিন দশকে পিয়ারলেস গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির গতি নজরকাড়া।
দেশে ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের মতো আর্থিক পরিষেবায় অন্যতম পথিকৃৎ পিয়ারলেস। এই গোষ্ঠীর ব্যবসা সম্প্রসারণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছেন এস কে। ১৯৯৬ থেকে সুনীল কান্তি পিয়ারলেস গোষ্ঠীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর। তাঁর আমলেই পিয়ারলেসের ব্যবসা জগতে প্রথম সারিতে উঠে আসা। বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বারের সভাপতি ছিলেন। ছিলেন ফিকি-র এগ্জ়িকিউটিভ কমিটির সদস্য। রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গে যৌথ ভাবে স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানও গড়েছে পিয়ারলেস। সমাজসেবার স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৯ সালে তিনি পান পদ্মশ্রী।