রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। এখনও পূর্ণাঙ্গ প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করেনি বিজেপি। বাংলার ২৩টি আসনে এখনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা বাকি রয়েছে। যার মধ্যে আছে জলপাইগুড়ির মতো কেন্দ্রও। নির্বাচনের প্রথম দফাতেই ১৯ এপ্রিল যেখানে ভোট রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আবার দিল্লিতে ডেকে পাঠালেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। শনিবার নতুন করে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।
লোকসভায় বেশ কয়েকটি আসনে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে বিজেপির অন্দরে জটিলতা তৈরি হয়েছে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর, বর্ধমান-দুর্গাপুর, জলপাইগুড়ি, বারাসত, দক্ষিণ কলকাতা, ডায়মন্ড হারবারের মতো কেন্দ্রগুলিতে প্রার্থী কারা হবেন, সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি শীর্ষ নেতৃত্ব। এই সব কেন্দ্রে একাধিক নাম প্রার্থী হিসাবে উঠে এসেছে। উত্তরবঙ্গে বিজেপির জেতা তিনটি আসন দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং রায়গঞ্জ। এখনও এই কেন্দ্রগুলিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। দক্ষিণবঙ্গে জেতা মেদিনীপুর, বর্ধমান-দুর্গাপুর, ঝাড়গ্রাম এবং ব্যারাকপুরেও প্রার্থী কারা হবেন, চূড়ান্ত নয়। এ ছাড়া আরামবাগের মতো কিছু আসন রয়েছে, দল যেগুলিতে জয় অপেক্ষাকৃত সহজ বলে মনে করছে। সেখানেও এখনও প্রার্থী দেওয়া হয়নি।
প্রার্থী সংক্রান্ত এই জট কাটাতেই গত সপ্তাহে এক বার সুকান্ত এবং শুভেন্দুর সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠক করা হয়েছিল। যেখানে আলোচনার পর শীর্ষ নেতারা জানিয়েছিলেন, এ বার প্রার্থী নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেলা হবে। মাঝপথেই বৈঠক শেষ করে বেরিয়ে এসেছিলেন শুভেন্দুরা।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির বৈঠক এখনও হয়নি। শুক্রবার অথবা শনিবার সেই বৈঠক হওয়ার কথা। তার মাঝে আবার ডাকা হল সুকান্ত এবং শুভেন্দুকে। বিজেপি সূত্রে খবর, শনিবার সকালেই দুই নেতা দিল্লিতে পৌঁছে যেতে পারেন। তাঁদের সঙ্গে আর এক দফা আলোচনার পর বাংলায় বিজেপির প্রার্থী-জট কাটে কি না, বাকি কেন্দ্রগুলিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেওয়া হয় কি না, সেটাই এখন দেখার।