নরেন্দ্র মোদী এবং সুকান্ত মজুমদার —নিজস্ব চিত্র।
দিলীপ ঘোষের পর এ রাজ্যে পদ্মশিবিরের হাল ধরার ভার বর্তেছে তাঁর উপর। দিলীপের স্থলাভিষিক্ত হলেও তাঁর মতো ঘন ঘন সংবাদমাধ্যমে দেখা যায় না সুকান্ত মজুমদারকে। তবে সোমবার বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি পদে উত্তরবঙ্গের সুকান্তর নাম ঘোষণা হতেই প্রচারের আলোয় ফের একবার বালুরঘাটের এই বিজেপি সাংসদ। কেন সুকান্তই ‘মন জয়’ করলেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ থেকে শুরু করে জেপি নড্ডার?
২০১৯ সালের লোকসভার পর সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনেও উত্তরবঙ্গে ভাল ফল করেছে বিজেপি। তার পরই উত্তরবঙ্গ থেকে দলের রাজ্য সভাপতি বেছে নিয়েছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি নড্ডা। এটা কাকতালীয় নয় বলেই রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা।
ছোট থেকেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর সঙ্গে যুক্ত সুকান্তকে গত লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাট আসনে প্রার্থী করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনে ওই একই আসনের দাবিদার ছিলেন সুকান্তের সম্পর্কে পিসি তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। শেষ পর্যন্ত অবশ্য অমিত শাহের নির্দেশে রায়গঞ্জে প্রার্থী হন দেবশ্রী এবং সেই আসনেই বিজেপি-কে জয় এনে দেন।
বিধানসভার ফলাফলের ভিত্তিতে রাজ্য জুড়ে পদ্মশিবিরের প্রার্থীরা ধরাশায়ী হলেও তাতে সাংসদ সুকান্তর বালুরঘাটে লোকসভার ফল ধরে রাখতে পেরেছে গেরুয়া শিবির। সেখানে তিনটি আসনে জয় পায় বিজেপি। স্বাভাবিক ভাবেই দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে তাতে সুকান্তের নম্বর বেড়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে।