কলকাতা হাই কোর্টে জামিনের আবেদন জানালেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। —ফাইল চিত্র।
স্ত্রীর প্রয়াণের কারণে জামিনের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। মঙ্গলবারই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে শুনানি। সোমবার রাত ১টায় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে সুজয়ের স্ত্রী বাণী ভদ্রের। দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। জামিনের আবেদনপত্রে নিজের অসুস্থতার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন সুজয়। স্ত্রীর অসুস্থতার ডাক্তারি রিপোর্টও তুলে ধরা হয়েছে। যদিও জামিনের বিরোধিতা করা হবে বলে ইডি সূত্রে খবর।
শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গত ৩০ মে প্রায় ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ‘কালীঘাটের কাকু’কে গ্রেফতার করেছিল ইডি। বর্তমানে প্রেসিডেন্সি সংশোধানাগারে রয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সেতুবন্ধনের কাজ করেছিলেন সুজয়। মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ ছিল। ২০১৮ সাল থেকে এই দুর্নীতিতে ‘কাকু’ জড়িত বলে দাবি করেছে ইডি। তদন্তকারীরা আরও দাবি করেছেন, জেরায় কুন্তল জানিয়েছেন, পার্থের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতে তাঁর কাছ থেকে প্রথমে ৭০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন সুজয়। সুজয়ের কথাতেই তিনি পার্থকে আরও ১০ লক্ষ টাকা দেন।
নিয়োগ দুর্নীতিতে তদন্তের মধ্যে সুজয়ের আইনজীবী আদালতে জানিয়েছিলেন, ‘কাকু’র স্ত্রী অসুস্থ। স্ত্রীর দেখাশোনা করেন সুজয়। এর মধ্যে সুজয়ের জামিনের আবেদনও খারিজ হয়ে যায়। ফলে এর মধ্যে স্ত্রীর সঙ্গে দেখাও হয়নি তাঁর। স্ত্রীর মৃত্যুর পর এ বার আদালতের দ্বারস্থ হলেন সুজয়।