কলকাতা হাই কোর্ট।
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বুধবার কলকাতা হাই কোর্টে রিপোর্ট পেশ করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল। যদিও এই রিপোর্ট অসম্পূর্ণ বলে জানিয়ে আদালতের কাছে আরও কিছুটা সময় চেয়েছে কমিশন।
একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশ মেনে ‘ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা’ কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে ওই রিপোর্ট তৈরি করেছে কমিশন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য সুবীর স্যানাল আদালতকে জানান, ‘‘গত ২৪ জুন কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল কলকাতায় আসে। তার পর সেখান থেকেই ৫-৬টি দলে ভাগ হয়ে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।’’
মানুষ যাতে নির্ঝঞ্ঝাটে হিংসার অভিযোগ জানাতে পারেন, তার জন্য পাঁচটি স্থায়ী নোডাল পয়েন্ট তৈরি করার আবেদন জানান কমিশনের আইনজীবী। বুধবার হাই কোর্টে কমিশন জানিয়েছে, যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে তা অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট। এখনও অনেক এলাকা ঘুরেই দেখতে পারেননি কমিশনের সদস্যরা। ফলে এই রিপোর্টকে সম্পূর্ণ বলা যায় না। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টের জন্য আরও কিছুটা সময় দেওয়া হোক।
কমিশনের এই আবেদনে সমর্থন জানিয়েছেন মামলাকারীদের আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। তিনি বলেন, মঙ্গলবার যাদবপুরে পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল কমিশনের সদস্যদের। সে ব্যাপারে রাজ্য প্রশাসনের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
যদিও রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, রাজ্য সরকার সব রকম ভাবেই কমিশনকে সহযোগিতা করছে। কমিশন যে রিপোর্ট পেশ করেছে, তা সব পক্ষকেই দেওয়া হোক, আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তবে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টের জন্য আদালতের কাছে বাড়তি সময় চেয়ে কমিশনের আবেদনের বিরোধিতা করেন তিনি।
শুনানি চলাকালীন আদালত জানিয়েছে, এত অল্প সময়ের মধ্যে এত বড় রিপোর্ট দেখা সম্ভব নয়। গোটা রিপোর্ট খতিয়ে দেখা জন্য আরও কিছুটা সময় চেয়েছে ওই পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। পরবর্তী শুনানি ২ জুলাই।