Students

Students: নম্বরে অসঙ্গতি, ফের সংশোধন চেয়ে আবেদন

করোনার জন্য এ বার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিলের পরে দুই স্তরেরই পড়ুয়াদের মূল্যায়ন করা হয়েছে বিশেষ পদ্ধতিতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২১ ০৬:৪৫
Share:

ফাইল চিত্র

কারও দশ নম্বর বাড়ার কথা, বেড়েছে ছয়। আশানুরূপ নম্বর বাড়েনি অনেকেরই। এ বার উচ্চ মাধ্যমিকের মার্কশিট সংশোধনের পরেও অনেক পড়ুয়ারই সমস্যার সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় মার্কশিট সংশোধনের জন্য আবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদে আবেদন পাঠাতে শুরু করেছেন অনেকে।

Advertisement

করোনার জন্য এ বার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিলের পরে দুই স্তরেরই পড়ুয়াদের মূল্যায়ন করা হয়েছে বিশেষ পদ্ধতিতে। অভিযোগ, ফল বেরোনোর পরে মার্কশিট পেয়ে বেশ কিছু পড়ুয়া হিসেব করে দেখেন, মূল্যায়ন অনুযায়ী তাঁদের নম্বর কম এসেছে। মার্কশিট সংশোধনের জন্য সংসদে আবেদন করেন তাঁরা। সেই সংশোধনের পরে নতুন মার্কশিট পড়ুয়াদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে সংসদ। উচ্চ মাধ্যমিকেও সকলকেই পাশ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু সংশোধিত মার্কশিট পেয়ে কিছু পড়ুয়ার অভিযোগ, তাঁদের মার্কশিট যথাযথ ভাবে সংশোধিত হয়নি। ফের সংশোধনের প্রয়োজন। নদিয়ার একটি স্কুলের ছাত্র রণদীপ দেবনাথ জানান, প্রথমে তাঁর নম্বর এসেছিল ৪৫৩। সংসদের মূল্যায়ন অনুযায়ী নম্বর হওয়া উচিত ছিল ৪৭২। তিনি মার্কশিট সংশোধন
করতে দেন। সংশোধিত মার্কশিটে ৪৬৫ নম্বর এসেছে। “আমি ও আমার স্কুলের শিক্ষকেরা সংসদের মূল্যায়ন রীতিতে হিসেব করে দেখেছি, আমার নম্বর ৪৭২ হবে। তা হলে সংশোধন করেও কম নম্বর পাঠানো হল কেন,” প্রশ্ন ওই পড়ুয়ার। তাঁর বাবা প্রদীপ দেবনাথ বলেন, “দেখা যাচ্ছে, সাত নম্বর কম হচ্ছে। কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে সাত নম্বর বাড়লে অনেক বেশি সুযোগ পাওয়া যাবে। আমরা ফের মার্কশিট সংশোধনের আবেদন করেছি।”

Advertisement

একই ভাবে দ্বিতীয় বার মার্কশিট সংশোধনের জন্য আবেদন করেছেন হরিণঘাটার একটি স্কুলের ছাত্র তমোঘ্ন অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, প্রথমে প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার নম্বর ছাড়াই মার্কশিট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সংশোধনের পরেও নম্বর কম এসেছে। মার্কশিট সংশোধনের জন্য আবার আবেদন করেছেন তিনি। তাঁর বাবা তাপস অধিকারী বলেন, “কত বার সংশোধন হবে, বলতে পারেন? এ দিকে কলেজে ভর্তির আবেদনের শেষ তারিখ তো প্রায় চলে এল!”

মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের একটি স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য জানান, তাঁর স্কুলের ১৮
জন ছাত্রছাত্রীর মার্কশিট সংশোধনের জন্য পাঠানো হয়েছিল। ন’জনের সংশোধিত মার্কশিট এসেছে। কিন্তু সেখানেও দেখা যাচ্ছে, কয়েক
জনের মার্কশিট পুরোপুরি সংশোধিত হয়নি।

কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেসের সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস জানান, মার্কশিট দ্রুত সংশোধনের জন্য আবেদন করে তাঁরা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকে চিঠি লিখেছেন। “গণনায় ভুল যত ক্ষণ থাকবে, তত ক্ষণ সংশোধনের সুযোগ দিতে হবে,” বলেন সৌদীপ্তবাবু।

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নবনিযুক্ত সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “এই ধরনের যদি কিছু ঘটে থাকে, তা হলে আমরা নিশ্চয়ই তা খতিয়ে দেখব। আমরা ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থকেই সর্বাধিক প্রাধান্য দিচ্ছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement