Higher Secondary

Higher Secondary: আগ্রহ বিজ্ঞানেই, একাদশে চাহিদা মিশ্র বিষয়েরও

বেথুন কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শাশ্বতী অধিকারী জানান, বিজ্ঞান শাখায় আসন প্রায় ভরে গিয়েছে। কলা বিভাগে ভর্তি অনেকটা বাকি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২২ ০৫:৪১
Share:

প্রতীকী ছবি।

মাধ্যমিকের ফল বেরোনোর পরেও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়া প্রায় শেষ। কলকাতার বিভিন্ন স্কুল জানাচ্ছে, এ বার বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার প্রবণতা বেড়েছে। প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানান, করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় অনেকে মনে করছে, ল্যাবরেটরি-নির্ভর ক্লাস আবার নিয়মিতই করা যাবে। তবে অনেক শিক্ষকের বক্তব্য, এখন আর আগের মতো কলা, বিজ্ঞান বা বাণিজ্য আলাদা করে ভাগ না-করাই ভাল। উচ্চ মাধ্যমিকে মিশ্র বিষয় নির্বাচন করা যায়। এবং সেই ঝোঁক বাড়ছেও।

Advertisement

বেথুন কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শাশ্বতী অধিকারী জানান, বিজ্ঞান শাখায় আসন প্রায় ভরে গিয়েছে। কলা বিভাগে ভর্তি অনেকটা বাকি। বেশ কিছু বিষয়ের শিক্ষিকা নেই। শাশ্বতীদেবী বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলে নিউট্রিশন (পুষ্টিবিদ্যা) নিয়ে পড়ার চাহিদা খুব। কিন্তু শিক্ষিকা না-থাকায় অনেকেই ওটা নিতে পারছে না। বিজ্ঞান পড়তে আগ্রহী অনেকেই কম্পিউটার সায়েন্স নিতে চায়। কিন্তু তার শিক্ষিকা নেই। অগত্যা তারা নিচ্ছে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন।’’

পাঠভবনের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা শুভা গুপ্ত জানান, আগের মতো ‘পিয়োর সায়েন্স’ অর্থাৎ পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, অঙ্কের সঙ্গে জীববিদ্যা না-নিয়ে অনেকে অন্য বিষয় নিচ্ছে। কেউ কেউ পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, অঙ্কের সঙ্গে নিচ্ছে স্ট্যাটিসটিক্স বা কম্পিউটার সায়েন্স। অনেকে মনোবিদ্যা, রসায়ন, নিউট্রিশন ও জীববিদ্যা নিচ্ছে। কলা বিভাগের বিষয়গুলিতেও এখন ৯০-এর বেশি নম্বর ওঠে। শুভাদেবী বলেন, ‘‘এ বার অর্থনীতি, স্ট্যাটিসটিক্স, অঙ্ক এবং কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে বেশ কিছু পড়ুয়া খুব ভাল ফল করেছে। এ বছরেও এই বিষয়গুলির চাহিদা খুব।’’

Advertisement

বেলতলা গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অজন্তা মুখোপাধ্যায় জানান, বিজ্ঞানের বিষয় নির্বাচনে এ বার বেশ বৈচিত্র আছে। অনেকে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, রসায়ন, জীববিদ্যার সঙ্গে নিউট্রিশন নিতে আগ্রহী।

যোধপুর বয়েজের প্রধান শিক্ষক অমিত সেন মজুমদার জানান, তাঁদের স্কুলে বিজ্ঞান বিষয়ের ১১৫টি আসন ভর্তি হয়ে গিয়েছে। কলা বিভাগে ভর্তি হয়েছে কমবেশি ৬০টি আসন। সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পাপিয়া নাগ জানান, তাঁদের বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি আগের বছরগুলির তুলনায় ভাল। মিত্র ইনস্টিটিউশনের ভবানীপুর শাখার প্রধান শিক্ষক রাজা দে জানাচ্ছেন, তাঁর স্কুলে কলা বিভাগের বিষয়ে ভর্তির প্রবণতা বেশি। শিক্ষকদের বক্তব্য, এখন বিজ্ঞানের কিছু বিষয়ে নম্বর তোলা কঠিন। তার থেকে অনেক সোজা কলা বিভাগের বেশ কিছু বিষয়ে নম্বর তোলা। তাই বিষয় নির্বাচন খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এখন পিয়োর সায়েন্স না-পড়ে নানা বিষয় নেওয়া যায়। তবে দেখতে হবে, নির্বাচিত বিষয়গুলি উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পড়ুয়ার কাজে লাগবে কি না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement