এলাকাবাসীর বাধার মুখে ফিরতে হয় আমতা থানার পুলিশকে। সেই সময় সংবাদমাধ্যমের কাছে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক দাবি করেন, মৃতের পরিজন ও প্রতিবেশীরা তাঁদের কাজ করতে সহযোগিতা করছেন না। কিন্তু শুক্রবার মৃত্যুর পর কেন রবিবার তাঁরা এলাকা ঘিরতে এলেন, তার সদুত্তর মেলেনি।
গ্রাফিক— সনৎ সিংহ।
আমতায় ছাত্রনেতা নেতা আনিস খানের রহস্যমৃত্যুতে বড়সড় প্রশ্নের মুখে পুলিশ। শুক্রবার মৃত্যু হয় আনিসের। অভিযোগ, মৃত্যুর স্থল ঘিরতে রবিবার সকালে আমতা থানার পুলিশ পৌঁছয় মৃতের বাড়িতে। এতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বাধার মুখে এলাকা ছেড়ে ফিরে যান পুলিশকর্মীরা। সূত্রের খবর, হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার সৌম্য রায়কে রাজ্য পুলিশের সদর দফতর ভবানী ভবনে তলব করা হয়েছে।
সেই সময় সংবাদমাধ্যমের কাছে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক দাবি করেন, মৃতের পরিজন ও প্রতিবেশীরা তাঁদের কাজ করতে সহযোগিতা করছেন না। কিন্তু শুক্রবার মৃত্যু হলেও কেন রবিবার তাঁরা এলাকা ঘিরতে এলেন, তার সদুত্তর মেলেনি।
আনিসের মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা অব্যাহত। মৃত্যুর পর ৩০ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও অধরা অভিযুক্তরা। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রনেতা আনিসের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা রয়েছে। একটি মামলায় আদালত থেকে ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে সমনও জারি হয়। পুলিশ খতিয়ে দেখছে, কারও সঙ্গে আনিসের ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল কি না। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ফরেন্সিক দলকে ডাকা হচ্ছে। রাজ্য পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার সিআইডি-র হাতে তুলে দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার, এমন জল্পনাও দানা বেঁধেছে।
পরিবারের দাবি, অনেক প্রশ্নের উত্তর এখনও মিলছে না। শুক্রবার রাতে পুলিশের পোশাক পরে যাঁরা তাঁদের বাড়িতে এসেছিলেন, তাঁরা কারা? যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের একজন পুলিশের পোশাকে থাকলেও বাকি তিন জন চিলেন সিভিক ভলান্টিয়ারের পোশাকে? প্রশ্ন উঠছে, যাঁরা এলেছিলেন তাঁরা কি সত্যিই প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত? পরিবারের আরও প্রশ্ন, পুলিশ এবং সিভিক ভলান্টিয়ারের পোশাকে কেন আসার প্রয়োজন হল?
তাঁরা জানতে চান, ওই আততায়ীদের প্রকৃত পরিচায়ই বা কী? তাঁরা কোথা থেকে এবং কার নির্দেশে এসেছিলেন? আনিসের বাবাকে যিনি বন্দুক ধরে আটকে রেখেছিলেন, তিনি আসলে কে? পরিবারের দাবি, ঘটনার পর থেকে আনিসের একটি ফোন মিলছে না। ফোনটি কোথায় গেল?