ছাত্রনেতা আনিস খানের রহস্যমৃত্যু নিয়ে টুইট করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি লিখেছেন, ‘পুলিশের পোশাক পরে তারাই খুন করে যারা পুলিশ আর সরকারকে ভিলেন বানিয়ে নিজেরা আড়ালে থাকতে চায়।’ তাঁর প্রশ্ন, ‘পুলিশের পোশাক পরিকল্পিত ছদ্মবেশ নয় তো?’
মৃতের পিতার সঙ্গে বাম যুব নেতারা। নিজস্ব চিত্র।
হাওড়ার আমতায় ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুতে এখনও ধোঁয়াশা। আনিসের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এ দিকে এলাকাবাসী পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করেছে। আনিসের বাড়িতে গিয়ে পরিজনদের সঙ্গে দেখা করেছেন বোলান গঙ্গোপাধ্যায়, কৌশিক সেনের মত বিশিষ্টরা। ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর।
রবিবার সকালেই মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন বাম ছাত্র যুব নেতৃত্ব। আমতা এলাকায় একটি প্রতিবাদ মিছিলও করেন তাঁরা। রবিবার রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে এসএফআই। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রাজ্যে জল্লাদের রাজত্ব চলছে। প্রতিবাদী ছাত্রনেতাকে পুলিশ এনকাউন্টার করেছে। যত ক্ষণ না আনিসের মৃত্যু রহস্যের উপর থেকে পর্দা উঠছে, ছাত্ররা রাস্তায় থাকবে।’’
আনিসের রহস্য মৃত্যু নিয়ে টুইট করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। তিনি লিখেছেন, ‘পুলিশের পোশাক পরে তারাই খুন করে যারা পুলিশ আর সরকারকে ভিলেন বানিয়ে নিজেরা আড়ালে থাকতে চায়।’ তাঁর প্রশ্ন, ‘পুলিশের পোশাক পরিকল্পিত ছদ্মবেশ নয় তো?’
মুখ খুলেছেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বর্ধমানে তিনি বলেন, ‘‘রাজনৈতিক খুন এ রাজ্যে নতুন কিছু নয়। সিপিএমের সুজনবাবু বলছেন, পুলিশ নাকি এনকাউন্টার করে মেরেছে। বাংলায় এনকাউন্টার হয় না কি? হলে এত বিশৃঙ্খলা হত না। আমতার রাজনৈতিক কর্মী খুন হয়েছেন না কি তিনি আত্মহত্যা করেছেন, তার প্রকৃত তদন্ত হওয়া উচিত। ’’ আনিস জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (সিএএ) বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন। এই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ‘‘দেশের বহু মানুষ সিএএ বিরোধিতা করে তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। বিরোধীকে সরাতে বিজেপি-কে খুনখারাপি করতে হয় না।’’