রচনা সাহা
ইউক্রেনের লিভিউ-এর মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী রচনা সাহা শনিবার রাত পর্যন্ত আটকে থাকেন পোলান্ড সীমান্তে। তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ শহরে। মা করবী সাহা শহরের হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। মেয়ে অবশ্য সব সময় যোগাযোগ রাখছেন।
শনিবার রাতে ইউক্রেনের সীমান্তে আটকে পড়া রচনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। রচনা জানান, লিভিউ-এ মাইনাস ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা। শুক্রবার দুপুরে হস্টেল থেকে ৭ জন মিলে বের হন তাঁরা। প্রায় ২৫ কিলোমিটার হাঁটার পরে একটি পেট্রল পাম্পে রাত কাটান সবাই। সকালে ফের পোলান্ড সীমান্তের দিকে হাঁটতে শুরু করেন। যত এগোন, ততই যানজট বাড়তে থাকে। যখন পোলান্ড সীমান্তে পৌঁছন, তখন বিকেল। তিন ঘণ্টা সময়ের তফাত ভারতীয় সময়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘‘সীমান্তে গিয়ে দেখি ভারতীয় দুতাবাসের কেউ নেই সেখানে। বহু ইউক্রেনবাসীও সীমান্তে উপস্থিত হয়েছেন। ফলে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। পোলান্ড সীমান্ত খুলে দিতে রাজি হয়নি সেখানকার বর্ডার গার্ড। ফলে পোলান্ডে ঢুকতে না পেরে কয়েক হাজার বিভিন্ন দেশের মানুষ অপেক্ষা করে রয়েছেন।
উত্তেজনা বাড়ছে। আমরা একটি বাস ভাড়া করে ফের রাতে লিভিউ
রওনা দিয়েছি।’’
রচনা জানান, তিনি যা শুনেছেন, তাতে এখনও লিভিউ বা পশ্চিমাঞ্চলের কোথাও কোনও বোমা হানা হয়নি। তাই তাঁর মতে, এখনও পর্যন্ত সেখানে ভয়ের কিছু নেই। রচনা বলেন, ‘‘আমরা শুক্রবার হস্টেল ছেড়ে বেশ কিছু তৈরি করা খাবার নিয়েছিলাম। এখনও পর্যন্ত তা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই এলাকায় জনজীবন পুরোপুরি অচল হয়ে যায়নি। তবে ভয়ে ভয়ে রয়েছে সকলেই। আমরা এখনও বুঝে উঠতে পারছি না
কী করব।’’