CPM

দোকান অনেক, কিন্তু খদ্দের জোটেনি! সূর্যকে চিঠি সিপিএমের কৃষক নেতাদের

দোকান অনেক, কিন্তু খোদ্দের জোটেনি! এই ভাষাতেই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রকে চিঠি দিয়ে ভোট বিপর্যয়ের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন দলের কৃষক সংগঠনে র নেতারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২১ ১৯:৫০
Share:

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। নিজস্ব চিত্র।

দোকান অনেক, কিন্তু খোদ্দের জোটেনি! এই ভাষাতেই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রকে চিঠি দিয়ে ভোট বিপর্যয়ের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন দলের কৃষক সংগঠনের নেতারা। দলের শোচনীয় পরাজয় নিয়ে সিপিএমের প্রত্যেক শাখা সংগঠন তাদের নিজেদের মূল্যায়নের কথা জানিয়েছিল দলকে। এই তালিকায় সবচেয়ে কঠিন ভাষায় ১১টি কারণ উল্লেখ করে দলের রাজ্য সম্পাদককে কড়া চিঠি দিয়েছে কৃষকসভা। সেখানেই দলের জোটসঙ্গী বাছাই থেকে শুরু করে প্রচার কৌশল, সব নিয়েই প্রশ্নের মুখে ফেলা হয়েছে রাজ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্তকে।

Advertisement

এ বারের ভোট প্রচারে তৃণমূল ও বিজেপি-র মধ্যে যোগসাজশের অভিযোগ এনে ‘বিজেমূল’ তত্ত্ব নিয়ে সরব হয়েছিল বামফ্রন্ট। সেই তত্ত্ব যে আম জনতা খারিজ করে দিয়েছে, তা স্পষ্ট ভাষায় লেখা হয়েছে। চিঠি বলা হয়েছে, ‘তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে বোঝাপড়ার ‘বিজেমূল’ তত্ত্ব মানুষ গ্রহণ করেনি।’ আরও একটি স্লোগান তোলা উচিত হয়নি বলে চিঠিতে রাজ্য সম্পাদককে জানিয়েছে কৃষকসভা। বলা হয়েছে, ‘জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি ও ভর্তুকির নানা সুযোগ তৃণমূলের পক্ষে ইতিবাচক ভোট প্রাপ্তিতে সহায়ক হয়েছে। ‘ভিক্ষা চাই না - কাজ চাই’, এই শ্লোগান তোলা ঠিক হয়নি।’ সঙ্গে বিভিন্ন শাখা সংগঠন খুলে ভোট পাওয়ার চেষ্টা হলেও, তা সফল হয়নি বলেই মত প্রকাশ করেছেন কৃষক নেতারা। বরং দল কী ভাবে নিচুতলার সংগঠন ব্যর্থ হয়েছে, তা উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘আদিবাসী অধিকার মঞ্চ, সামাজিক ন্যায় মঞ্চ, আওয়াজ ইত্যাদি নানা শ্রেণি ও সামাজিক সংগঠন গড়ে তোলা হয়েছে। এক কথায়, দোকান অনেক হয়েছে, কিন্তু খদ্দের জোটেনি। আসলে নীচের দিকে এত কাজ করার নেতৃত্ব ও কর্মী নেই।’

আদিবাসী ও সংখ্যালঘু ভোট যে সরাসরি দু'ভাগে ভাগ করা হয়েছে, তাও লেখা হয়েছে কৃষক নেতাদের চিঠিতে। লেখা হয়েছে, ‘আদিবাসী, তফসিলি ও দলিতদের আমাদের সঙ্গে থাকা ক্ষুদ্র অংশ ছাড়া সিংহভাগ ভোট মূলত বিজেপির পক্ষে পড়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসও ভোটের একাংশ পেয়েছে।’ তাতে আরও বলা হয়েছে, ‘অনেক ক্ষেত্রে আমাদের এবং কংগ্রেসের কর্মী ও অনুগামীদের উল্লেখযোগ্য ভোটার পরস্পরকে ভোট দেয়নি। আইএসএফ-এর মধ্যে সংখ্যালঘু মুসলমান ও আট-ন'টি আদিবাসী, তফসিলি সংগঠন আছে বলে প্রচার হল। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারের সময় পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী ছাড়া কাউকেই দেখা গেল না। এর ফলে আইএসএফ-কে ধর্মনিরপেক্ষ সংগঠন বলে আমাদের প্রচার মানুষ গ্রহণ করেনি, মুসলমানদের সংগঠন বলেই ধরে নেয়। এতে আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ উজ্জ্বল ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত হয়েছে।’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement