কারিগরি দফতরের উদ্যোগে প্রশিক্ষণ দিয়ে ৬৮ হাজার যুবক যুবতীকে কাজ দিতে চায় রাজ্য। প্রতীকী ছবি
পশ্চিমবঙ্গে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দিতে ‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্পে স্বল্প সময়ের কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বিশেষ ভাবে উদ্যোগী সরকার। সম্প্রতি বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, পলিটেকনিক এবং আইটিআই শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য ‘প্লেসমেন্ট সেল’ খোলা হয়েছে। এই পদ্ধতির মূল লক্ষ্য রাজ্যের যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থান। এই সেলের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। এই উদ্যোগে রাজ্যের ৬৮ হাজার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। এই উদ্যোগে বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থাকেও যুক্ত করা হয়েছে।
কোন ধরনের কারিগরি প্রশিক্ষণ দিলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বেশি মিলবে, তা পর্যালোচনা না করেই আগে প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। একই বিষয়ের প্রশিক্ষণ অধিক সংখ্যাক ব্যক্তিকে দেওয়া হত। ফলে সকলের কর্মসংস্থান সম্ভব হত না। এখন আগে শিল্প-বাণিজ্য সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনা করে বুঝে নেওয়া হয়, তাদের কোন ধরনের কাজের জন্য কত সংখ্যক প্রশিক্ষিত কর্মীর প্রয়োজন। সেই অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দিচ্ছে কারিগরি শিক্ষা দফতর। মোট ২০৬টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে ‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্পের অধীনে। বৃহৎ সংস্থা ছাড়াও স্থানীয় স্তরের ছোট-মাঝারি শিল্প-বাণিজ্য সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তাদের চাহিদাও জেনে নেওয়া হচ্ছে দফতরের তরফে। জানার পর সেই বিষয়গুলির উপর আলোকপাত করে কারিগরি শিক্ষার পাঠ্যক্রমে বদল আনার কথাও ভাবা হচ্ছে।
প্রতি জেলায় এক জন অতিরিক্ত জেলাশাসককে এই ব্যাপারে মূল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁর অধীনে নোডাল অফিসার থাকছেন। সঙ্গে এক জন করে প্রজেক্ট আধিকারিক নিয়োগ করা হচ্ছে। বেসরকারি সংস্থাগুলির চাহিদা অনুযায়ী স্বল্পকালীন কারিগরি প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণের খরচ যোগান দিচ্ছে রাজ্য সরকার। প্রশিক্ষণের পর সংস্থাগুলি কাজ দিচ্ছে কি না, তাও নজরে রাখা হচ্ছে।