Mamata Banerjee

রাজ্যসভার নির্বাচন এবং বিধানসভার উপনির্বাচনের জন্য তৈরি, কমিশনকে জানাল রাজ্য

রাজ্যসভার ২টি আসনে এবং বিধানসভার ৭টি আসনেও ভোট করানো সম্ভব রাজ্যে। নির্বাচন কমিশনকে এমনটাই জানাল রাজ্য সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২১ ১৯:০৫
Share:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুখ্য নির্বাচন কমিশনর সুশীল চন্দ্র। নিজস্ব চিত্র।

রাজ্যসভার দু’টি আসনে নির্বাচনের পাশপাশিবিধানসভার সাতটি আসনেও ভোট করানো সম্ভব রাজ্যে। নির্বাচন কমিশনকে এমনটাই জানাল রাজ্য সরকার। সম্প্রতি নবান্নের কাছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন জানতে চেয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গে কি রাজ্যসভার খালি হওয়া দু’টি আসনে ভোট করানো সম্ভব? নবান্ন সূত্রে খবর, নির্বাচন কমিশনের এই চিঠির উত্তর দিয়েছে রাজ্য। সেই চিঠিতে জানানো হয়েছে, এই সময়ে রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন চলছে। তাই রাজ্যসভার ভোটের জন্য সব বিধায়ককেও পাওয়া যাবে। তাই রাজ্যসভার খালি থাকা দু’টি আসনে ভোট করানো সম্ভব।

Advertisement

সূত্রের খবর, ওই চিঠিতে আরও জানানো হয়েছে, রাজ্যসভার দু’টি আসনের পাশাপাশি, বিধানসভার ৭টি আসনেও নির্বাচন করানোর মতো পরিস্থিতি রয়েছে। কমিশন সেখানে নির্বাচন করলে রাজ্য সরকার সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়া বিধানসভা ভোটে সবং আসন থেকে জিতে মন্ত্রী হয়েছেন। তাই তাঁর আসনটি ফাঁকা রয়েছে। আর চলতি বছর ১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। তাই সেই আসনও ফাঁকা হয়েছে। এই দু’টি আসনে ভোট করানো সম্ভব কিনা, তা নিয়ে রাজ্য সরকারের মতামত জানতে চেয়েছিল কমিশন।

Advertisement

বিভিন্ন পরিস্থিতিতে রাজ্যের সাতটি আসনেও নির্বাচন প্রয়োজন। বিধানসভার ভোটের সময় জঙ্গিপুরে আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দী ও সামসেরগঞ্জে কংগ্রেস প্রার্থী মন্টু বিশ্বাস করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হওয়ায়ওই দুই কেন্দ্রে ভোট করা যায়নি। আর খড়দহে তৃণমূলের বিজয়ী প্রার্থী কাজল সিংহ ফলাফল ঘোষণার আগেই প্রয়াত হন। দিনহাটা ও শান্তিপুর থেকে বিজেপি-র প্রতীকে জিতেও সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার পদত্যাগ করেছেন। আরভবানীপুর আসন থেকে জিতেও পদত্যাগ করেছেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সদ্য প্রয়াত হয়েছেন গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর। তাই পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন করতে হবে। আর ২টি কেন্দ্রে সাধারণ নির্বাচন হবে।

ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে আবার প্রার্থী হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই উপনির্বাচন রাজ্যের শাসকদলের কাছে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। গত ৫ মে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন। তাই তাঁকে আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে উপনির্বাচনে জিতে সাংবিধানিক শর্তপূরণ করতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement