ফাইল চিত্র।
কলকাতায় কোভিড সংক্রমণের হার (পজ়িটিভিটি রেট) নিয়ে কেন্দ্রের হিসেব মানতে নারাজ রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তারা। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানায়, ১৭ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কলকাতার পজ়িটিভিটি রেট ৫.১। কিন্তু রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তাদের দাবি, ‘এই পরিসংখ্যানের সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই। শেষ সপ্তাহে কলকাতার পজ়িটিভিটি রেট ছিল ২.৫৪ শতাংশ।
কেন এই ফারাক তার ব্যাখ্যাও দিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তারা। তাঁরা জানান, কোনও পরীক্ষাকেন্দ্র ধরে নয়, বরং অতিমারির শুরু থেকে রোগীর ঠিকানাকে চিহ্নিত করে বিভিন্ন জেলার সংক্রমণের হার হিসেব করা হচ্ছে। সূত্রের দাবি, পদ্ধতির হেরফেরেই কেন্দ্র এবং রাজ্যের তথ্য মিলছে না। রাজ্যের পদ্ধতি ব্যাখ্যায় স্বাস্থ্য কর্তাদের বক্তব্য, বহু ক্ষেত্রে জেলার বাসিন্দারা কলকাতা বা শহরতলি থেকে পরীক্ষা করাচ্ছেন। আবার বরাহনগর বা মধ্যমগ্রামের মতো অনেক এলাকা রয়েছে যেগুলি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অধীনে হলেও পিন কোড কলকাতার। তার ফলেই সেগুলি কলকাতা হিসেবে ধরেছে কেন্দ্র। তার উপরে বহু বেসরকারি পরীক্ষা কেন্দ্র রোগীর ঠিকানা ঠিক মতো নথিভুক্ত করে না। সেগুলিকে পরীক্ষা কেন্দ্রের ঠিকানা ধরেই হিসেব করেছে কেন্দ্র। রাজ্য রোগীর হিসেবকে খুঁটিয়ে যাচাই করে তবেই নথিভুক্ত করে বলে দাবি রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিটি রিপোর্ট আসার পরে রোগীর ঠিকানা ধরে তা কলকাতা পুরসভা কিংবা সংশ্লিষ্ট জেলাকে পাঠানো হয়। ঠিকানা যাচাই করে ফেরত আসার পরে সেগুলি কোন জেলার তা খুঁজে তবেই নথিভুক্ত করা হয়।’’