ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। গত কয়েক দিন ধরে ধারাবাহিক ভাবে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। মশাবাহিত রোগে মৃত্যুর খবরও পাওয়া যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ১৪ দফা নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, হাসপাতালগুলিতে ‘ফিভার ক্লিনিক’ পুরোদমে সচল রাখতে হবে। যাঁরা জ্বর নিয়ে চিকিৎসার জন্য আসবেন, তাঁদের তথ্য সংগ্রহ করে রাখতে হবে। পরে যাতে তাঁদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করা যায়।
হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গি রোগীদের জন্য ২৪ ঘণ্টা ল্যাব পরিষেবা চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। রোগীদের শারীরিক পরীক্ষা করার পর ওই দিনই রিপোর্ট দিতে হবে ল্যাব কর্তৃপক্ষকে। ডেঙ্গি আক্রান্ত কিংবা ডেঙ্গি সন্দেহের যে কোনও রোগীকে পরীক্ষার দিনই রিপোর্ট দিতে হবে।
স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বলা হয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি সমস্ত ডেঙ্গি রোগীর রক্ত পরীক্ষা করার পর সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক একটি রিপোর্ট দিতে হবে ল্যাব কর্তৃপক্ষকে। সেই সঙ্গে রোগীর রক্তে অস্বাভাবিক কিছু থাকলে দ্রুত সতর্ক করতে হবে চিকিৎসকদের। ডেঙ্গি নিয়ে যাবতীয় বিষয় পর্যালোচনার জন্য নিযুক্ত থাকবেন এক জন সহকারী সুপার।
ডেঙ্গি মোকাবিলায় নার্সিং পরিষেবার উপর জোর দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। বলা হয়েছে, কর্তব্যরত অবস্থায় ডেঙ্গি রোগীদের অবস্থা পর্যালোচনা করে নার্সিং সুপাররা সংশ্লিষ্ট সুপারিনটেন্ডেন্টকে জানাবেন। রোগীদের শারীরিক অবস্থা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য বারবার পর্যালোচনা করতে হবে। এ ছাড়া, প্রতি সপ্তাহে হাসপাতালে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসতে হবে কর্তৃপক্ষকে। হাসপাতাল চত্বরে বাধ্যতামূলক ভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। ডেঙ্গি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নির্দিষ্ট সময় অন্তর স্বাস্থ্য দফতরের পোর্টালে নথিভুক্ত করতে বলা হয়েছে।
হাসপাতালের দেওয়ালে ডেঙ্গি সচেতনতামূলক পোস্টার রাখতে বলেছে স্বাস্থ্য দফতর। এ ছাড়া, হাসপাতালে পতঙ্গবিদ্দের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। ব্লাড ব্যাঙ্কে যথেষ্ট প্লেটলেট মজুত আছে কি না, তা-ও নজরে রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এই ১৪ দফা নির্দেশিকা অনুযায়ী যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে সরকারি হাসপাতালগুলিকে।