ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে প্রতিষেধকপ্রাপক হিসেবে ভোটকর্মীদের তথ্যভান্ডার তৈরির কাজ শুরু করেছে রাজ্য। সূত্রের খবর, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) সব জেলাকে এই তথ্যভান্ডার চূড়ান্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তথ্যভান্ডার চূড়ান্ত হয়ে গেলে ভোটকর্মীদের প্রতিষেধক দিয়ে তবে ভোটের কাজে তাঁদের নিযুক্ত করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন।
দেশে দফায় দফায় প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। অগ্রাধিকারের নিরিখে আগে প্রতিষেধক পাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং সামনের সারিতে থাকা কোভিড-যোদ্ধারা। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যের (পশ্চিমবঙ্গ, অসম, কেরল, পুদুচেরি এবং তামিলনাড়ু) স্বাস্থ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, বিধানসভা ভোটে বিপুল সংখ্যক ভোটকর্মী, পর্যবেক্ষক এবং নিরাপত্তা-কর্মীদের কাজে লাগানো হবে। প্রতিষেধক ব্যবস্থাপনার জন্য গঠিত ‘ন্যাশনাল এক্সপার্ট গ্রুপ’-এর সুপারিশ মেনে জনস্বার্থে এমন প্রত্যেককে প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তাই যাঁদের ভোটের কাজে লাগানো হবে, তাঁদের দ্রুত চিহ্নিত করে চূড়ান্ত হওয়া তথ্যভান্ডার কেন্দ্রের নির্দিষ্ট পোর্টালে আপলোড করলে অন্যান্য প্রথম সারির যোদ্ধাদের সঙ্গে ভোটকর্মীদেরও প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু হবে।
প্রশাসন সূত্রের বক্তব্য, কোভিডের কারণে এ বার ভোটে নানা বিধিনিষেধ রয়েছে। সুরক্ষাবিধি মানতে গিয়ে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা গত বারের বিধানসভা ভোটের তুলনায় অনেকটা বাড়াতে হচ্ছে। আগে রাজ্যে বুথের সংখ্যা ছিল ৭৮ হাজার ৯০৩টি। এ বার সেই সংখ্যা ১ লক্ষ ১ হাজার ৭৯০টি। ফলে ভোটকর্মী এবং নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যাও বাড়াতে হচ্ছে।
সূত্রে খবর, রাজ্যে ভোটকর্মীর সংখ্যা এ বার ৭ লক্ষের আশেপাশে থাকতে পারে। কেন্দ্র প্রতিষেধক দিতে চাইলেও তা বাধ্যতামূলক নয়। সকলে প্রতিষেধক নিলে সাধারণ প্রতিষেধক দান প্রক্রিয়ার উপর বাড়তি চাপ পড়বে। ফলে বাড়াতে হবে প্রতিষেধক প্রদান কেন্দ্রের সংখ্যা। আবার খুব বেশি ভোটকর্মী প্রতিষেধক নিতে রাজি না থাকলে তখন চলতি ব্যবস্থার মধ্যেই তা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা হবে।