ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেবে রাজ্য।
রাজ্যের ৪৩টি শহরাঞ্চলকে ডেঙ্গির আঁতুড়ঘর বলে চিহ্নিত করল রাজ্য। এই ৪৩টি এলাকায় ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি ডেঙ্গি মোকাবিলায় মোতায়েন করা হবে বিশেষ ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ও।
শীতের শেষে ডেঙ্গি-সহ বিভিন্ন মশাবাহিত রোগের প্রকোপ শুরু হয় রাজ্যে। অতিমারি পরিস্থিতির মধ্যে যাতে ডেঙ্গি বাড়তি বিপদ তৈরি না করে, সে জন্য এখন থেকেই কী করণীয় আর কী করা উচিত নয়, তার একটি আগাম পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে রাজ্যের নগর উন্নয়ন সংস্থা বা সুডা। যে ৪৩টি এলাকাকে অতি স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে অশোকনগর, বরাহনগর, বাদুরিয়া, বাঁকুড়া, ব্যারাকপুর, বিধাননগর, গোবরডাঙা, হালিশহর, হাবড়া, হুগলি-চুঁচুড়া, হাওড়া, খড়দহ, দমদম, মহেশতলা, পানিহাটি, কামারহাটি, রিষড়া, শ্রীরামপুর, টাকি, টিটাগড়, উত্তরপাড়া-কোতরঙের নামও।
সুডা জানিয়েছে, গত বছরের ডেঙ্গি সংক্রমণের ভিত্তিতেই বেছে নেওয়া হয়েছে ওই ৪৩টি এলাকাকে। ২০২১ সালে যে সমস্ত শহর-শহরতলিতে ১০ জন বা তার বেশি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন, সেগুলিকেই অতি স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ৮৩টি শহরাঞ্চলকে অপেক্ষাকৃত কম মাত্রার স্পর্শকাতর এলাকা বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আপাতত এই এলাকাগুলিতে যা করা হবে, তা হল:
১. ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে সার্বিক নজরদারির জন্য এক জন অফিসার নিয়োগ করা হবে।
২. প্রতিটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে কী কী কাজ করা হচ্ছে, তার দেখাশোনার জন্য থাকবেন এক জন সুপারভাইজার।
৩. নাগরিকদের অভিযোগ জানানোর জন্য থাকবে হেল্পলাইন নম্বর।
৪. থাকবে, প্রতি সপ্তাহে এলাকার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য বিশেষ অভিযান। স্থানীয় মানুষকেও পরিচ্ছন্নতা অভিযানে যুক্ত করার পরিকল্পনা। যাতে তাঁদের মধ্যে সতর্কতা বোধ তৈরি হয়।
৫. জমা জল বা ডেঙ্গির মশা বৃদ্ধির অন্য অনুকূল পরিবেশ কী ভাবে তৈরি হচ্ছে তা জানতে বাড়ি বাড়ি ঘুরে সমীক্ষা চালাবেন মহিলা আরোগ্য সমিতির সদস্যরা।
৬. বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের উপযুক্ত সদস্যের দল তৈরি করা।