রাজ্যে নতুন নতুন মেডিক্যাল কলেজ গড়ে উঠলেও তার সব ক’টিতেই স্নাতকোত্তর পঠনপাঠনের উপযুক্ত পরিকাঠামো রয়েছে, এমন নয়। স্বাস্থ্য শিবির সূত্রের খবর, এনএমসি-র তরফে পরিকাঠামো সংক্রান্ত কড়াকড়ি অনেকটা শিথিল করা হয়েছে।
ফাইল চিত্র।
রাজ্য সরকার সম্প্রতি কিছু চিকিৎসক নিয়োগ করলেও বাংলায় ডাক্তারের ঘাটতি রয়েই গিয়েছে। বিশেষত দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মতো বঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা এখনও অনেকটাই কম। এ বার সেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব মেটানোর উদ্দেশ্যে ডাক্তারির স্নাতকোত্তর স্তরে বাড়তি আসনের বন্দোবস্ত করছে রাজ্য সরকার। বঙ্গের ১৭টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২৩টি বিষয়ে এমডি-এমএস পাঠ্যক্রমে মোট ৬৫০টি আসন বাড়ানো হচ্ছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, রাজ্যে স্নাতকোত্তর স্তরে এখন প্রায় ৩১০০ আসন রয়েছে। তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আরও ৬৫০টি। সম্প্রতি এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এমডি-এমএসের আসন বৃদ্ধির বিষয়ে কয়েক দিন আগেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে প্রস্তাব পাঠায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। এক আধিকারিক বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরেই ১৭টি কলেজের আসন বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়ে গেলেই আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন আসনে পঠনপাঠন শুরু করা হবে।’’
এমডি-এমএসের আসন বাড়ছে এই সব কলেজে: কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিক্যাল (৪৮), মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ (৬১), মালদহ মেডিক্যাল কলেজ (৮২), মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ (৪), বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ (৪), বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ (৪), উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ (৮), এসএসকেএম (১২)। এ ছাড়া কলকাতা মেডিক্যাল, আরজি কর, এনআরএস এবং ন্যাশনালে বাড়ছে চারটি করে আসন। পাশাপাশি রায়গঞ্জ, পুরুলিয়া, রামপুরহাট, ডায়মন্ড হারবার ও কোচবিহারের নতুন মেডিক্যাল কলেজগুলির সব ক’টিতেই ৮২টি করে নতুন আসনে শুরু হচ্ছে স্নাতকোত্তর পঠনপাঠন। রাজ্যে নতুন নতুন মেডিক্যাল কলেজ গড়ে উঠলেও তার সব ক’টিতেই স্নাতকোত্তর পঠনপাঠনের উপযুক্ত পরিকাঠামো রয়েছে, এমন নয়। স্বাস্থ্য শিবির সূত্রের খবর, এনএমসি-র তরফে পরিকাঠামো সংক্রান্ত কড়াকড়ি অনেকটা শিথিল করা হয়েছে। তাই প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজের পরিকাঠামোর দিকে খেয়াল রাখতে চিঠি পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এমবিবিএস চিকিৎসকের ঘাটতি অনেকটা মিটেছে। এর পরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়লে বঙ্গের চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও সমৃদ্ধ হবে।