—প্রতীকী ছবি।
ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দেওয়া হল। এ নিয়ে যাতে অশান্তি না ঘটে, সে ব্যাপারেও শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে বৈঠকে জেলা-কর্তাদের সতর্ক করে দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজয়ী দলের অভ্যন্তরের গোষ্ঠীকোন্দল এড়ানোই এর অন্যতম লক্ষ্য।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে বিজয়ী প্রার্থীদের ব্যাপারে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। সব জেলাকে চিঠি পাঠিয়ে পঞ্চায়েত দফতরের নির্দেশ, দ্রুত বোর্ড গঠন করতে হবে। ১৬ অগস্টের মধ্যে প্রথম বৈঠকও সেরে ফেলতে হবে। পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, জেলা পরিষদের সভাধিপতি-সহ অন্য পদাধিকারীদের নির্বাচনও করাতে হবে সরকারি আধিকারিকদের তত্ত্বাবধানে।
আদালতের নির্দেশ ছিল, চূড়ান্ত ফলাফল নির্ভর করবে তাদের রায়ের উপর। যদিও পঞ্চায়েত কর্তাদের বক্তব্য, অপেক্ষা করায় পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় একটা অচলাবস্থা তৈরির আশঙ্কা ছিল। সেই কারণে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ। এক কর্তার কথায়, ‘‘নিয়ম অনুযায়ী, ২০১৮ সালে যে বোর্ড প্রথম বৈঠক করেছিল, তার পাঁচ বছরের মধ্যে নতুন বোর্ডের (এ বছরের নির্বাচিত) প্রথম বৈঠক করাতে হয়। না হলে ‘কাস্টোডিয়ান’ বসাতে হবে প্রতিটি স্তরে। এতে শুধু বেতন ছাড়া আর কোনও আর্থিক ক্ষমতা থাকবে না নির্বাচিত বোর্ডগুলির কাছে। বাকি সব কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যাবে।"
এ দিন প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহলের নির্দেশ, রাস্তাশ্রী, পঞ্চদশ অর্থ কমিশন-সহ একাধিক প্রকল্পে গ্রামীণ কাজকর্ম শুরু করতে হবে। সূত্রের দাবি, কিছুদিনের মধ্যেই পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের আওতায় চলতি আর্থিক বছরের প্রথম কিস্তির টাকা পেতে চলেছে রাজ্য। ফলে নতুন তৈরি বোর্ডের সহযোগিতা নিয়ে সেই কাজের রূপরেখা তৈরি করতে হবে প্রশাসনকে। পাশাপাশি, সেপ্টেম্বরে ফের শুরু হতে পারে দুয়ারেসরকার এবং পাড়ায় সমাধান কর্মসূচি। ফলে তারও প্রস্তুতি শুরু করতে হবে দ্রুত। ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচিতে পাওয়া অভিযোগগুলির যথাযথ নিষ্পত্তিও কাজের আওতায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুজোর আগে সব প্রকল্পের ইতিবাচক অগ্রগতি নিশ্চিত করতেও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।