এ বার গ্রামীণ এলাকার পুকুর ভরাট রুখতে কমিটি গঠন রাজ্য সরকারের।
গ্রামীণ এলাকায় অবৈধ মাটি কাটা ও পুকুর ভরাট রুখতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। এই ধরনের অবৈধ কাজ রুখতে ব্লক স্তরে তিন সদস্যের একটি কমিটি, জমি সংক্রান্ত সব বিষয়ে কড়া নজর রাখবে। এই কমিটিতে বিডিওকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে। কমিটিতে ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক এবং সংশ্লিষ্ট থানার আইসিকে রাখা হয়েছে। ব্লক স্তরের পাশাপাশি, মহকুমা স্তরেও এই ধরনের কমিটি তৈরি হবে। কিন্তু মহকুমার তুলনায় ব্লক স্তরের কমিটির দায়িত্ব বেশি থাকবে। সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার। পুরুলিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে ভূমি ও ভূমি সংস্কারের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভূমি ও ভূমি সংস্কার অফিসগুলির কাজকর্ম নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তারপরেই এই নজরদারি কমিটি তৈরি করা হল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার অফিসে পর্যাপ্ত কর্মী নেই। তাই ব্লক ভূমি অফিসের কাজকর্মের উপর নজরদারি চালানো যায় না। তাই ব্লকস্তরে এই কমিটিই যাবতীয় দেখভালের কাজ করবে। এই কমিটির কাজ কী হবে তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে মূল কাজ হবে পুকুর বা জলাশয় ভরাট ঠেকানো। তাছাড়া ভূমি ও ভূমি সংস্কার অফিসে কোনও বেনিয়ম বা অনৈতিক কাজ যাতে না হয়, তাও দেখবে এই কমিটি। এক সরকারি আধিকারিকের কথায়, গ্রামীণ এলাকায় অবৈধ ভাবে মাটি কাটা ও পুকুর বোজানোর ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। সেই ভাবনা থেকেই এই কমিটির তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সঙ্গে গ্রামীণ এলাকায় থাকা আদিবাসীদের থেকে কেউ যাতে বেআইনিভাবে জমি হাতিয়ে নিতে না পারে, তা দেখার দায়িত্বও এই কমিটিকে দেওয়া হয়েছে। মিউটেশন সার্টিফিকেট, পরচা ইত্যাদি সংক্রান্ত কাজ যাতে দ্রুত হয়, তা নিশ্চিত করার দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে এই কমিটিকে। প্রতি সপ্তাহে বুধবার করে এই কমিটি বৈঠকে বসবে। আর মহকুমা স্তরের এমন একটি কমিটি গঠন করতে হবে, যে কমিটি মাসে একবার করে বসবে এবং বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করে সমাধান করবে। জেলাশাসকরা সার্বিকভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন গোটা বিষয়টি।