State Election Commission

ভুয়ো-ভূতুড়ে ভোটার চিহ্নিত করতে চায় কমিশন

প্রশাসনিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সাত-আট বছর আগে ‘ইলেকশন পপুলেশন রেশিও’ ধরা হত ৬৩-৬৪%। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৭৩%।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৩ ০৭:৩০
Share:

রাজ্য নির্বাচন কমিশন। —ফাইল চিত্র।

চলছে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। যার উপর ভিত্তি করে আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন হবে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, নির্বাচন কমিশনের লক্ষ্য, ভুয়ো এবং ভূতুড়ে ভোটার চিহ্নিত করে তা চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ দেওয়া। জেলা প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, এই অবস্থায় কমিশন জোর দিয়েছে ‘ইলেকশন পপুলেশন রেশিও’ বা জনসংখ্যার নিরিখে ভোটার সংখ্যা বাড়ছে কি না তার দিকে। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে এক দফা ব্যাখ্যাও দিতে হয়েছে জেলা-কর্তাদের।

Advertisement

প্রশাসনিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সাত-আট বছর আগে ‘ইলেকশন পপুলেশন রেশিও’ ধরা হত ৬৩-৬৪%। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৭৩%। অর্থাৎ, বর্তমান জনসংখ্যার নিরিখে প্রতি একশো জন নাগরিকের মধ্যে প্রকৃত ভোটার থাকার কথা ৭৩ জন। কোথাও সেই অনুপাত বেশি থাকলে, কেন তা বাড়ল, তার কারণ ব্যাখ্যা করতে হচ্ছে জেলা-কর্তাদের। তাঁদেরই এক জনের কথায়, “নির্বাচন কমিশনের অফিসারেরা শেষ বার যখন এসেছিলেন, তখনই জেলা ধরে ধরে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল।”

সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, কমিশনের বৈঠকে জোর দেওয়া হয়েছিল তালিকা সংশোধনের উপর। তার পরে জেলা-কর্তাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে বৈঠকের দায়িত্ব বর্তেছিল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) উপর। লিখিত ভাবে জেলা-কর্তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘ইলেকশন পপুলেশন’ অনুযায়ী ভোটার তালিকায় কম নাম (বিশেষ করে মহিলা ভোটারদের) উঠছে বলে বুথ-লেভেল অফিসারদের (বিএলও) কারণও চিহ্নিত করতে হবে। কমিশনের হিসাবে এখন রাজ্যে প্রতি এক হাজার পুরুষ ভোটারের নিরিখে মহিলা ভোটারদের সংখ্যা ৯৬৭।

Advertisement

কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ভোটারের ছবি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে যথাযথ ভাবে। কোনও এলাকায় অস্বাভাবিক হারে আবেদন বাতিল হলে তার উপযুক্ত কারণ নথিবদ্ধ করতে হবে। একাধিক বার যাচাই করে তবে নাম বাতিল করা যাবে উপযুক্ত ক্ষেত্রে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement