WB Panchayat Election 2023

সরকারি সূত্রে তিন জনের মৃত্যুর খবর স্বীকার, অথচ মনোনয়নে মৃত্যুর বিষয়ে নাকি জানেই না কমিশন!

কমিশনের দাবি, মনোনয়নের এই ক’দিনে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৯০ জন। রাতে কমিশন সূত্রে খবর, মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরুর পর থেকে এ দিন রাত পর্যন্ত সংঘর্ষের ৩০টি ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২৩ ০৭:২১
Share:

রাজ্য নির্বাচন কমিশন। —ফাইল চিত্র।

ছ’দিনের মনোনয়ন দাখিল পর্ব শেষে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ২ লক্ষ ১৫ হাজার মনোনয়ন জমা পড়েছে বলে জানাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই হিসাব গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের আসন মিলিয়ে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমার শেষ দিনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে রাজ্য সরকারি সূত্রে তিন জনের মৃত্যুর খবর স্বীকার করা হলেও, রাতে কমিশনের দাবি, নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে রাজ্যে কোনও মৃত্যুর ঘটনা পুলিশ অন্তত তাদের জানায়নি। পুলিশের পাঠানো রিপোর্টে নাকি তেমনই রয়েছে।

কমিশনের দাবি, মনোনয়নের এই ক’দিনে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৯০ জন। রাতে কমিশন সূত্রে খবর, মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরুর পর থেকে এ দিন রাত পর্যন্ত সংঘর্ষের ৩০টি ঘটনা ঘটেছে। ৩০টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৫৬টি বোমা উদ্ধার হয়েছে। লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্ধুক উদ্ধার হয়েছে ৪৭৮৭টি। কমিশন জানিয়েছে, জামিন অযোগ্য ধারায় ১৮০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, রাজ্যে মোট গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যা ৩৩১৭টি, পঞ্চায়েত সমিতি ৩৪১টি এবং জেলা পরিষদের সংখ্যা ২০টি। এই ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ৭৩,৮৮৭। যার ভোটার সংখ্যা ৫ কোটি ৬৭ লক্ষ ২১ হাজার ২৩৪।

মনোনয়ন পেশের প্রথম চার দিনে পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরেই মনোনয়ন দাখিলের নিরিখে এগিয়ে ছিলেন বিরোধীরা। নির্বাচন কমিশনের খবর, শেষ দু’দিনে তৃণমূল প্রায় সব আসনেই প্রার্থী দিয়ে বিরোধীদের টেক্কা দিয়েছে। নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি, তৃতীয় স্থানে বামেরা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, প্রথম দিকে মনোনয়ন দাখিল না করাটা শাসক দলের কৌশল। আগাম মনোনয়ন পেশ করে বিক্ষুব্ধদের সংখ্যা না বাড়িয়ে শেষ দু’দিনে বিপুল মনোনয়ন জমা দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কৌশল নিয়েছে তৃণমূল।

অত্যন্ত অল্প সময়ে শাসক দলের মনোনয়নের সংখ্যা কী ভাবে বিপুল হারে বেড়ে যাচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‘বহু ব্লকেই তৃণমূলের মনোনয়ন দেওয়ার লাইন ছিল না। প্রার্থী, প্রস্তাবকদের ভিড়ও সিসিটিভি-তে দেখা যাচ্ছে না। তবে কি শাসকের জন্য আলাদা বেআইনি ব্যবস্থা?’’ তাঁর দাবি, ‘‘আদালতের নজরদারিতে তদন্ত হলে ধরা পড়বে নিশ্চয়।’’

তৃণমূলের নেতা তাপস রায় অবশ্য বলেন, ‘‘এ সব আজগুবি কথার কোনও মানে হয়? সিপিএম বা বিজেপি যে সংখ্যায় মনোনয়ন দিয়েছে, তা অনেকে বাস্তব বলে মানতে পারছেন না। আর তৃণমূল করলেই সন্দেহ? আসলে ভোটের আগেই হতাশা ব্যক্ত করছে এ ভাবে।’’

আর এক নির্দেশে আবার জানানো হয়েছে যে, শুক্রবারও মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন ভলান্টারি রিসোর্স পার্সন এবং শিক্ষাবন্ধুরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement