ফাইল ছবি
রাজ্যের ওমিক্রন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে বৈঠক করল স্বাস্থ্য দফতর। ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীদের জন্য বেলেঘাটা আইডিকে নোডাল হাসপাতাল হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বৈঠকে কোভিডের নয়া রূপে আক্রান্ত রোগীদের চিহ্নিতকরণ এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে একগুচ্ছ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব সঞ্জয় বনশাল ও স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়কুমার চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে এই বৈঠক হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কোভিড, ওমিক্রনে আক্রান্ত এবং ওমিক্রন সন্দেহে ভর্তি রোগীদের পৃথক ওয়ার্ডে রাখতে হবে। ওমিক্রন বেশি সংক্রামক হওয়ায় কারণে এই ধরনের রোগীদের অন্য কোভিড আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গে না রেখে পৃথক ভাবে নিভৃতবাসে রাখতে হবে। এই তিনটি ওয়ার্ডের একটিতে সাধারণ কোভিড আক্রান্ত রোগী, দ্বিতীয়টিতে ওমিক্রন সন্দেহে ভর্তি কোভিড রোগী এবং তৃতীয়টিতে ওমিক্রন পজিটিভ রোগী রাখতে হবে।
যে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে ওমিক্রন আক্রান্তের চিকিৎসা হবে তার মধ্যে রয়েছে আমরি, বেলভিউ, উডল্যান্ডস, সিএমআরআই, চার্নক, ফর্টিস হাসপাতাল। এছাড়াও আরএন টেগোর, রুবি, আইএলএস হাসপাতালও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিল। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকা এক স্বাস্থ্যকর্তার মতে, বড় হাসপাতালগুলিতে তিনটি আলাদা ওয়ার্ড করা এই মুহূর্তে সম্ভব।
ওমিক্রনের গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে কি না বুঝতে কলকাতা পুর এলাকায় সেই সব কোভিড পজিটিভ রোগী যাঁদের সিটি ভ্যালু ৩০-এর কম, তাঁদের জিন পরীক্ষা করা হবে। রাজারহাট নিউটাউন এবং সল্টলেক এলাকাতেও পজিটিভ হওয়া হওয়া রোগীর নমুনাগুলি পাঠাতে হবে স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে। শহরের সমস্ত পরীক্ষাগারকে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, নমুনা পরীক্ষার সময় জানতে হবে রোগীর টিকাকরণ হয়েছে কি না, শেষ ১৪ দিনের পর্যটনের কোন ইতিহাস আছে কি না এবং কেন নমুনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে।
বৈঠকে বলা হয়েছে, ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে দু’বার নেগেটিভ রিপোর্ট এলে তবেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে। রিপোর্ট না আসা অবধি তাঁকে হাসপাতালেই নিভৃতবাসে থাকতে হবে।
বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে কোভিড রোগীদের জন্য কতগুলি শয্যা, ভেন্টিলেটর ইত্যাদি আছে তার তালিকা স্বাস্থ্যভবনকে পাঠাতে হবে।