বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।
ন্যায্য প্রার্থীদের নিয়োগের দাবিতে আইনি পথে লড়াইয়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীরটাকেও ঠিক রাখার পরামর্শ দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। স্কুলের শিক্ষক ও কর্মী পদে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তাঁর আবেদন, ‘‘অনশন করবেন না।’’
বুধবার বিকেলে ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক এবং ‘গ্রুপ সি’ বা তৃতীয় শ্রেণি এবং ‘গ্রুপ ডি’ বা চতুর্থ শ্রেণির কর্মী-পদে চাকরিপ্রার্থীদের মঞ্চে উপস্থিত হন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “আপনাদের নিয়োগ এক দিন হবেই। এত দিন চাকরি না-পাওয়ার জন্য বকেয়া বেতনও পাবেন আপনারা।’’
এ দিন বিধানসভা থেকে বেরিয়ে একটি বাসে শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেপির পরিষদীয় দল পৌঁছয় ময়দানে। ধর্নামঞ্চে প্রার্থীদের আইনি লড়াইয়ের পাশে থাকার বার্তা দেন শুভেন্দু। তিনি জানান, সীমিত শক্তি নিয়ে বিধানসভার অভ্যন্তরে বিজেপি একক বিরোধী দল হিসেবে তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা তুলে ধরছে। শুভেন্দুর দাবি, স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর পরীক্ষাও ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (ইউপিএসসি)-এর ঢঙে হওয়া উচিত।
শুভেন্দুর অভিযোগ, তৃণমূল দলীয় নেতাদের কমিশনের মাথায় বসাচ্ছে। ফলে মেধার বদলে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাচ্ছে দলীয় আনুগত্য। হবু শিক্ষকেরা তাঁর সামনে আমরণ অনশনে বসার হুমকি দিলে তিনি চাকরিপ্রার্থীদের অনুরোধ করেন, নিজেদের বাঁচিয়ে আন্দোলন করুন। প্রার্থীদের প্রশ্ন, লড়াই তাঁরা করছেনই। কিন্তু কত দিন এই লড়াই চলবে?
নিয়োগের দাবিতে এ দিন বিকাশ ভবনে বিক্ষোভ দেখানোর আগেই কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীদের একাংশকে পুলিশ আটক করে। বেলা ১টায় ওই চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল বিকাশ ভবনের সামনে। তাঁদের দাবি, পুজোর আগেই তাঁদের নিয়োগ করতে হবে। বিক্ষোভকারী প্রার্থীদের অভিযোগ, তাঁদের করুণাময়ীতে জড়ো হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ডে অথবা মেট্রো থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ তাঁদের আটক করে তুলে নিয়ে যায়।
এ দিনেই রাজ্যের সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুল এবং মাদ্রাসার গ্রন্থাগারগুলিতে শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে করুণাময়ীর মেলা প্রাঙ্গণের সামনে বিক্ষোভ দেখায় গ্রন্থাগার চাকরিপ্রার্থী ঐক্য মঞ্চ। পুলিশ তাঁদের বিকাশ ভবনে যাওয়ার পথে আটকে দিয়েছিল।