এই নিয়ে দ্বিতীয় বার ইডির দফতরে হাজিরা দিলেন বনি। ফাইল চিত্র।
মঙ্গলবার সকালেই ইডির সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হলেন টলিউড অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। ইডি সূত্রে খবর ছিল, নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের থেকে পাওয়া টাকা ফেরত দিতে চেয়েছেন বনি। মঙ্গলবার তাঁকে দ্বিতীয় বার তলব করেছিল ইডি। ওই টাকা এবং তার সাহায্যে কেনা গাড়ি সংক্রান্ত নথিপত্র নিয়ে বনিকে আসতে বলা হয়েছিল বলেও খবর ছিল ইডি সূত্রে। মঙ্গলবার ঠিক দুপুর ১২টায় তিনি পৌঁছে যান সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে। একটি কালো গাড়ি থেকে নেমে ইডির দফতরে ঢোকেন বনি। তাঁর হাতে ছিল একটি ফাইলও।
এই নিয়ে দ্বিতীয় বার ইডির দফতরে হাজিরা দিলেন বনি। নিয়োগ মামলায় এর আগে বৃহস্পতিবার তাঁকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সে দিন জিজ্ঞাসাবাদের ফাঁকে নীচে নেমে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন বনি। মঙ্গলবারও বনিকে দেখে সিজিও কমপ্লেক্স চত্বরে এগিয়ে যান সাংবাদিকরা। কিন্তু মঙ্গলবার আর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি বনি। একটি টুপি পরে এসেছিলেন অভিনেতা। গাড়ি থেকে নেমে মাথা নিচু করে সোজা ইডির দফতরে ঢুকে যান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোনও জবাব দেননি তিনি।
নিয়োগ মামলায় ধৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তলের থেকে গাড়ি কিনতে আর্থিক সাহায্য নিয়েছেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন বনি। সেই অর্থের পরিমাণ প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা বলে বৃহস্পতিবার বনিই জানিয়েছিলেন সাংবাদিকদের। এ-ও বলেছিলেন, ওই টাকা কুন্তলের আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কাজ করে মিটিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। পরে ইডি সূত্রে জানা যায়, কুন্তল যে টাকা দিয়ে বনিকে গাড়ি কিনে দিয়েছিলেন, অভিনেতা তা ইডি-কে ফেরত দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে অভিনেতার সঙ্গে যোগাযোগ করে আনন্দবাজার অনলাইন। এ ব্যাপারে ইডির তরফে সরকারি ভাবে কিছু জানানো না হলেও ওই সূত্রের দাবির ভিত্তিতে বনির সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টির সত্যতা সম্পর্কে জানতে চায় আনন্দবাজার অনলাইন। জবাবে বনি বলেন, ‘‘এখনই এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। দুঃখিত।’’ ইডি সূত্রে যা দাবি করা হচ্ছে, তা তিনি অস্বীকার করছেন কি না, এই প্রশ্নও করা হয় বনিকে। তার জবাবেও একই কথা জানিয়েছেন বাংলা ছবির ওই নায়ক। এর পরই মঙ্গলবার ইডি দফতরে ফাইল হাতে হাজির হন অভিনেতা।