বিজেপি নেতাদের সঙ্গে অযোধ্যার অনুষ্ঠানের সম্প্রচার দেখছেন দিব্যেন্দু অধিকারী। পরনে গেরুয়া পাঞ্জাবি। গত সোমবার। —ফাইল চিত্র।
এ বার কি তবে সরাসরি বিজেপিতে নাম লেখাতে চলেছেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী? বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলায় ‘শাহি-সফরে’র আগে তাঁর ভাইকে নিয়ে জল্পনা তেমনই।
আগামী ২৮ জানুয়ারি বঙ্গ-সফরে আসছেন অমিত শাহ। ২৯ জানুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদায় মেদিনীপুরের তিন জেলার বুথ কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করার কথা তাঁর। এই আবহে জেলা জুড়ে আলোচনা, ওই দিনই শাহের হাত থেকে পদ্ম পতাকা নেবেন দিব্যেন্দু। এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার জানতে চাওয়া হলে দিব্যেন্দু পদ্মে যোগদানের সম্ভাবনা সরাসরি নাকচ করেননি। শুধু বলছেন, ‘‘এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’
সূত্রের খবর, বুধবার বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে স্থানীয় নেতাদের আলোচনাতেও দিব্যেন্দুর যোগদানের বিষয়টি ওঠে। দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে দিব্যেন্দু বিজেপিতে যাবেন, এমনটাও শোনা যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূল থেকে আসা জেলা বিজেপির এক নেতার কথায়, ‘‘দিব্যেন্দু দলে যোগ দেবেন
বলে শুনেছি।’’
২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরে শাহের হাত ধরেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু। তার আগে শুভেন্দুও তাঁর ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়ে ভাঙতেন না। প্রশ্ন উঠলেই এড়িয়ে যেতেন। শুভেন্দুর পরে তাঁর ছোট ভাই সৌমেন্দু অধিকারীও বিজেপিতে যান। তার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভামঞ্চে হাজির ছিলেন প্রবীণ সাংসদ শিশির অধিকারী। তবে দিব্যেন্দুকে এখনও পর্যন্ত বিজেপির প্রত্যক্ষ কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায়নি।
ইতিমধ্যে খাতায়কলমে ঘাসফুলের সাংসদ শিশির ও দিব্যেন্দুর সাংসদ পদ বাতিলের দাবি জানিয়েছে তৃণমূলের সংসদীয় দল। তবে তা কার্যকর হয়নি। এ দিকে, ক’দিন আগে শিশির ও দিব্যেন্দু রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গেও দেখা করেন। সন্দেশখালি কাণ্ডের পরে শাহকে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবনতির কথা জানিয়ে চিঠিও লেখেন দিব্যেন্দু। তার পর ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের দিন কাঁথি জেলা বিজেপি কার্যালয়ের সামনে এক অনুষ্ঠানে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বসেই পুরো অনুষ্ঠান দেখেন তিনি। পরনেও ছিল গেরুয়া পাঞ্জাবি।
এ সবই কি দিব্যেন্দুর বিজেপিতে যাওয়ার ইঙ্গিত? বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অরূপ দাসের জবাব, ‘‘দলের তরফে কিছু জানানো হয়নি।’’ আর তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলছেন, ‘‘দিব্যেন্দুকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’’