—ফাইল চিত্র।
তৃণমূলে শোভন চট্টোপাধ্যায় কি তাঁর পুরনো ‘জায়গা’ ফিরে পাবেন?এই প্রশ্ন ঘিরে দলের অন্দরে তীব্র গুঞ্জন শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকে তাঁর উপস্থতিতির সম্ভাবনা নিয়েও জল্পনা রয়েছে দলীয় নেতৃত্বের মধ্যে।
দীর্ঘদিন দল থেকে সরে থাকার পরে ভাইফোঁটা নিতে হঠাৎ কালীঘাটে পৌঁছে তৃণমূলে ফেরার বার্তাই দিয়েছিলেন শোভন। আর ‘দ্রুত কাজে’ ফিরতে বলে সেদিন একইভাবে ইতিবাচক মনোভাব স্পষ্ট করেছিলেন মমতাও। আজ তৃণমূলের বৈঠকের আগে বুধবার দিনভর শোভনকে নিয়ে এই জল্পনাই ছিল দলের শীর্ষস্তরে। এই প্রেক্ষাপটে শোভনকে মন্ত্রিসভায় ফিরিয়ে নেওয়া হতে পারে বলেও গুঞ্জন শুরু হয়েছে দলে। দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী একসময় শোভনের হাতে থাকা আবাসন দফতরের দায়িত্ব তাঁকে ফিরিয়ে দিতে পারেন বলেও মনে করছেন দলের একাংশ। মেয়র ও মন্ত্রী-পদ ছাড়লেও শোভন বিধায়কপদ ছাড়েনি। ফলে তাঁকে মন্ত্রিসভায় ফিরিয়ে আনতে তৃণমূলের কোনও সমস্যা নেই। দলের সিদ্ধান্ত মতো শোভন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েই নির্দিষ্ট দফতরের কাজ শুরু করতে পারবেন। প্রসঙ্গত, ভাইফোঁটায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরে শোভনের নিরাপত্তা ফিরিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার।
পাশাপাশি শোভনকে ঘিরে এই চর্চায় যোগ হয়েছে কলকাতার পুরভোটও। কলকাতা পুরসভার ভোট হতে পারে আগামী বছরের গোড়ায়। সেক্ষেত্রে ২০২০ সালে কলকাতার পুরভোটে শোভনকে কি তাৎপর্যপূর্ণ কোনও ভূমিকায় দেখা যাবে? তিনি সরে যাওয়ার পরে মেয়র হিসেবে ফিরহাদ হাকিমের কাজে দল খুশি। তবে পুর-প্রশাসক হিসেবে শোভনের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা আগামী ভোটে তৃণমূলের কাজে লাগবে বলে মনে করছেন শাসক শিবিরের অনেকেই।
আরও পড়ুন: ‘বিদেশি গরু’র দুধেই মিলল সোনা! গবেষণার ‘তথ্য’ সাপ্লাই দিলেন দিলীপরাই
দলের একাংশের ধারণা, মেয়র হিসেবে প্রথমবার পূর্ণমেয়াদ ও দ্বিতীয়বারের বেশিরভাগ সময় শোভনের কাজ নির্বাচনী লড়াইয়ে দলকে খানিকটা বাড়তি সুবিধা দিতে পারে। তবে এদিন এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি দলের শীর্ষনেতৃত্ব। চেষ্টা করেও শোভনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি।