ঝালদা পুরসভা। ফাইল চিত্র।
একের পর এক মামলা সামলে পুরুলিয়ার ঝালদায় তৃণমূল পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে সোমবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করেছেন কংগ্রেস ও নির্দল কাউন্সিলররা। এ বার বোর্ড গঠনের পথে বাধা আসে কি না, এখন চর্চা তা নিয়েই। মঙ্গলবার সদ্য অপসারিত পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়ালের একটি মন্তব্য সেই জল্পনা উস্কেও দিয়েছে। সুরেশের দাবি, ‘‘বোর্ড গঠন এখনও হয়নি। দেখুন না কী হয়। কংগ্রেসের বদলে নির্দলেরও কেউ পুরপ্রধান হতে পারে।’’ জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতোর মন্তব্য, ‘‘আমাদের দলের ব্যাপার। উনি না ভাবলেও চলবে।’’
২০১৮ সালেও সুরেশ পুরপ্রধান থাকাকালীন বিক্ষুব্ধরা তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করেন। শেষে হাই কোর্টের নির্দেশে সরেছিলেন সুরেশ। তবে এ দিন জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, ‘‘তিনি (সুরেশ) আর মামলা করবেন কি না, তা নিয়ে জেলা নেতৃত্বের কাছে খবর নেই।’’ জেলা তৃণমূল সূত্রের খবর, বিক্ষুব্ধ শিবিরের এক কাউন্সিলরের সদস্যপদ খারিজের মামলার আজ বুধবার হাই কোর্টে শুনানি রয়েছে। সে দিকেই তাঁরা তাকিয়ে। তারপরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
পরবর্তী পুরপ্রধানের নাম নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে। গুঞ্জন, যে দুই নির্দল কাউন্সিলরের ভরসায় পাঁচ কংগ্রেস কাউন্সিলর সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখিয়েছেন, সেই শিলা চট্টোপাধ্যায় ও সোমনাথ কর্মকারের নাম আলোচনায় রয়েছে। আছে নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু ও আর এক দলীয় কাউন্সিলর বিপ্লব কয়ালের নামও। তবে নেপালের দাবি, ‘‘পুরপ্রধান নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’’