মন বুঝতে মাঠে নয়া টিম পিকে

শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকায় ঘুরে তথ্য সংগ্রহ শুরু করল মহারাষ্ট্র নির্বাচনে শিবসেনার হয়ে কাজ করা প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) ১২ জনের একটি বিশেষ দল।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:৫৬
Share:

প্রশান্ত কিশোর। — ফাইল চিত্র

এ বার শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকায় ঘুরে তথ্য সংগ্রহ শুরু করল মহারাষ্ট্র নির্বাচনে শিবসেনার হয়ে কাজ করা প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) ১২ জনের একটি বিশেষ দল। দলীয় সূত্রের খবর, এই দলের নেতৃত্বে আছেন দক্ষিণ ভারতের দু’জন মহিলা। নির্দিষ্টভাবে ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি, রাজগঞ্জ, শিলিগুড়ি, ফাঁসিদেওয়া ও মাটিগাড়া- নকশালবাড়ি বিধানসভা ধরে কাজ চলছে। প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় শাসক দলের অবস্থা ছাড়াও এলাকার নেতৃত্ব সম্পর্কে আম জনতা কী বলছেন তার খতিয়ান তৈরি হচ্ছে। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোট এবং ২০২০ তেই শিলিগুড়ি পুরসভা ও মহকুমা পরিষদের ভোট রয়েছে। তার আগে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই এই বিশেষ দল বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

শিলিগুড়ি পুরসভার মধ্যে শিলিগুড়ি বিধানসভা এবং ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভার অংশ রয়েছে। এ ছাড়াও বাকি তিনটি বিধানসভা এলাকা একেবারে শিলিগুড়ি সংলগ্ন। শিলিগুড়ি এলাকায় দলের ধারাবাহিক হারের কারণ খতিয়ে দেখে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তারই রূপরেখা তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। তবে গত একমাসে এনআরসি এবং সিএএ-র বিরুদ্ধে তৃণমূল টানা মাঠে নেমে আন্দোলন করায় দলের সাংগঠনিক এবং জনভিত্তির উন্নতি হয়েছে বলে দলের একাংশ মনে করছেন। এই পরিস্থিতিতে পিকে’র টিম নেতানেত্রীদের বাছাই করে তাঁদের সম্পর্কে মানুষের ধারণা জানার চেষ্টায় নেমেছে। দলের কর্মীরাও নেতৃত্ব সম্পর্কে কী ভাবেন তা জানা হচ্ছে।

এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের উত্তরবঙ্গের কোর কমিটির চেয়ারম্যান তথা পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেছেন, ‘‘পিকে’র টিম শিলিগুড়ি-সহ পাঁচটি বিধানসভায় কাজ শুরু করেছেন। ওঁরা নিজেদের মত কাজ করছেন। এক দফায় আমার সঙ্গে কথা বলে গিয়েছেন। এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারছি না।’’

Advertisement

দলীয় সূত্রের খবর, ২০১১ সালে পরিবর্তনের হাওয়ায় একবারই শিলিগুড়ি বিধানসভা আসনটি জিতেছিল তৃণমূল। এ ছাড়া কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে পুরসভায় কিছুদিন ক্ষমতায় ছিল। এর বাইরে বিধানসভা, লোকসভা, পুরসভা, মহকুমা পরিষদ কোনও ভোটেই তৃণমূল এখানে জিততে পারেনি। সম্প্রতি দলের নেতৃত্বের বদল করা হয়েছে। গৌতমকে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলার দায়িত্ব দিয়ে রঞ্জন সরকারকে সমতলের সভাপতি করা হয়েছে। পাহাড়ের জন্য নতুন কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছে।

আগামী বছর নতুন করে পুরসভা এবং মহকুমা পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পুরসভা ভোটে গৌতমের নেতৃত্বে ভোটের লড়াইয়ে নামবে দল। সেখানে পুরনো কাউন্সিলরদের একাংশকে রেখে নতুন মুখের প্রার্থী রাখাও মোটামুটি ঠিক। আবার দলের মধ্যে টিকিটের একাধিক দাবিদার রয়েছেন বলেও সূত্রের খবর। ফলে ওই নেতানেত্রীদের বিষয়ে বাসিন্দারা কী ভাবছেন সেটা গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন পিকের দলের সদস্যরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement