প্রয়াত ডিওয়াইএফআই নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্যা নিজস্ব চিত্র
ডিওয়াইএফআই নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুর ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করল লালবাজার। পুলিশের লাঠির আঘাতে মইদুলের মৃত্যু হয়েছে বলে বামেরা দাবি করলেও, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে সেই ‘তত্ত্ব’ এখনও জোরালো নয়। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে ডোরিনা ক্রসিং এবং এসএন ব্যানার্জি রোডের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, তার মধ্যে একটি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, মইদুল জানবাজারের দিকে একটি হোটেলের সামনে পড়ে রয়েছেন। কিন্তু মইদুল কী ভাবে সেখানে এলেন? পুলিশের লাঠির আঘাতে তিনি আহত হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
তা হলে কী কারণে মৃত্যু হল মইদুলের? লালবাজার সূত্রে খবর, সিসি ক্যামেরার আরও ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই সময় এলাকায় অনেকেই ছিলেন। তাঁদের চিহ্নিত করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অপেক্ষা করা হচ্ছে ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্টের জন্য। যদিও পুলিশের এই ব্যাখা মানতে নারাজ বামেরা। তাদের তরফে যে ছবি এবং ভিডিয়ো সংবাদমাধ্যমে দেওয়া হয়েছে, তাতে রাস্তায় বসে ছটফট করতে দেখা গিয়েছে মইদুলকে। কিন্তু পুলিশের লাঠিপেটার কোনও ফুটেজ এখনও প্রকাশ পায়নি। লালবাজারের তরফে জানানো হয়েছে, তারা নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করছে। ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে, তা খুঁজে বার করা হবে।
অন্য দিকে, নিউ মার্কেট থানায় ফুয়াদ হালিমের জমা দেওয়া মইদুলের চিকিৎসা সংক্রান্ত নথিপত্রও খতিয়ে দেখছে সিট। গত ১১ ফেব্রুয়ারি তাঁর ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছিলেন মইদুল। মৃত্যুর আগের রাতে তাঁকে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তখনও বিষয়টি জানতে পারেনি মইদুলের পরিবার। পরে ১৩ তারিখ মইদুলের শারীরিক পরিস্থিতির কথা জানানো হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে তাঁর শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্টও চিকিৎসকদের দিয়ে বিশ্লেষণও করা হচ্ছে।