রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে ঘুরে যে তথ্য দিচ্ছেন পরিদর্শকরা তা খতিয়ে দেখছেন রাজ্য স্বাস্থ্য সচিব, শিক্ষা-স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য অধিকর্তা-সহ স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা। এই পরিদর্শনের ফলে গত দু’সপ্তাহে রেফার করার প্রবণতা অনেকটাই কমেছে। এর পাশাপাশি হাসপাতালে কাজের পরিবেশেরও উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা।
প্রতীকী ছবি
রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের চিঠি পাঠিয়ে রেফার নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থার নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা। পাশাপাশি রেফার রুখতে রাজ্য ও জেলাস্তরে একাধিক পরিদর্শক দল গঠন করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা পর্যবেক্ষণ করে নিয়মিত তথ্য পাঠাচ্ছে। তাতেই কমেছে রেফার ‘রোগ’, দাবি স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীর।
রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে ঘুরে যে তথ্য দিচ্ছেন পরিদর্শকরা তা খতিয়ে দেখছেন রাজ্য স্বাস্থ্য সচিব, শিক্ষা-স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য অধিকর্তা-সহ স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা। এই পরিদর্শনের ফলে গত দু’সপ্তাহে রেফার করার প্রবণতা অনেকটাই কমেছে। এর পাশাপাশি হাসপাতালে কাজের পরিবেশেরও উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা।
অজয় বলেন, ‘‘নিয়মিত হাসপাতাল পরিদর্শনের করে মূলত কী কারণে রেফার করা হচ্ছে সেই ফাঁকগুলি চিহ্নিত করা হচ্ছে। দ্রুত তা দূর করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’
প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন আগে দুর্ঘটনায় আহত এক ব্যক্তিকে স্থিতিশীল না করে কৃষ্ণনগর থেকে রেফার করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনাকে স্বাস্থ্যভবন গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বলে জানান অজয়। ওই হাসপাতালের অভিযুক্ত চিকিৎসক-সহ, হাসপাতাল এবং নার্সিং সুপারের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
একইসঙ্গে তাঁর আবেদন, চিকিৎসায় গাফিলতি বা রেফারের অভিযোগ থাকলেও চিকিৎসকরা রোগীর জন্য দিনরাত এক করে পরিষেবা দেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও রোগী মারা গেলে অনেক ক্ষেত্রেই চিকিৎসকদের হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে, যা কাম্য নয়। তাই রাজ্যের চিকিৎসক এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর আস্থা রাখা এবং হাসপাতালে চিকিৎসক নিগ্রহ না করার আবেদন জানান তিনি।