সাত বছর সম্মেলন, গড় বাড়ছে একশো দিনে

নারায়ণগড়ের বাখরাবাদ পঞ্চায়েতের খালিনা বুথে ওই কর্মসূচি হয় সোমবার।

Advertisement

বিশ্বসিন্ধু দে 

নারায়ণগড় শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২০ ০০:৩২
Share:

—ফাইল চিত্র

একশো দিনের কাজে পশ্চিমবঙ্গে সেরা বলে বারে বারেই দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিসংখ্যানেও দেখা গিয়েছে, একশো দিনের কাজে এ রাজ্য সামনের সারিতেই রয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে রাজ্যের শাসক দলের অন্যতম হাতিয়ারও হল এই প্রকল্প। তার উপভোক্তাদের উৎসাহ দিতে তাঁদের নিয়ে সম্মেলন করল তৃণমূল। পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হল ঝুড়ি, কোদাল, হাঁড়ি, থালা।

Advertisement

নারায়ণগড়ের বাখরাবাদ পঞ্চায়েতের খালিনা বুথে ওই কর্মসূচি হয় সোমবার। ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক প্রদ্যোত ঘোষ, ব্লক তৃণমূল সভাপতি মিহির চন্দ প্রমুখ। মিহির বলেন, ‘‘জবকার্ডধারীদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য এমন সম্মেলন অন্য কোথাও হয় বলে আমার জানা নেই।’’

সম্মেলনের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন ওই বুথের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুশান্ত ধল। এই আয়োজন অবশ্য এই প্রথম নয়। গত সাত বছর ধরে একশো দিনের জবকার্ডধারীদের নিয়ে সম্মেলন করেন তিনি। তাতে ফলও মিলছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে নারায়ণগড় একশো দিনের কাজের গড় এখনও পর্যন্ত ৫৩ শতাংশ। সেখানে খালিনা বুথে একশো দিনের কাজের হার গড়ে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ।

Advertisement

বিজেপি অবশ্য এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না। নারায়ণগড় মধ্য মণ্ডলের সভাপতি শুভাশিস মহাপাত্র বলেন, ‘‘একশো দিনের কাজ হচ্ছে তৃণমূলের আয়ের উৎস। ভুয়ো মাস্টার রোল করে আয় করছে তারা। এটাই ওদের মূল উৎসব।’’ যদিও নারায়ণগড়ের বিডিও বিশ্বজিৎ ঘোষ জানান, খালিনা বুথে একশো দিনের কাজ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ প্রায় নেই বললেই চলে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement