Bengal Recruitment Scam

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শান্তিপ্রসাদের জামিনের আর্জি খারিজ, ১৮ জুলাই জেল পর্যন্ত হেফাজত

প্রায় ১১ মাস ধরে জেলবন্দি শান্তিপ্রসাদকে আবার আগামী ১৮ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৩ ২২:৫১
Share:

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গত বছর আগস্টে গ্রেফতার করা হয়েছিল শান্তিপ্রসাদ সিংহকে। —ফাইল চিত্র।

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিংহের জামিনের আবেদন আবার খারিজ করে দিল আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত। প্রায় ১১ মাস ধরে জেলবন্দি শান্তিপ্রসাদকে আবার আগামী ১৮ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

Advertisement

নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ধৃত তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা-সহ অন্য অভিযুক্তদেরও ১৮ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে জীবনকৃষ্ণের তরফে মঙ্গলবার জামিনের আবেদন জানানো হয়নি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কৌশিক ঘোষের আইনজীবী মঙ্গলবার আদালতে শুনানিপর্বে অভিযোগ করেন, তাঁর মক্কেলের মেডিক্যাল পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হলেও রক্তপরীক্ষা ছাড়া আর কিছুই হয়নি।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত বাগদার বাসিন্দা রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলের ‘এজেন্ট’ বলে অভিযুক্ত কৌশিক শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং ১৩৩ দিন ধরে হেফাজতে রয়েছেন জানিয়ে তাঁর আইনজীবী জামিন চাইলেও সিবিআইয়ের আইনজীবী তার বিরোধিতা করে জানান, ধৃত ব্যক্তি দুর্নীতিচক্রের সঙ্গে গভীর ভাবে জড়িত। জামিন দেওয়া হলে তদন্ত প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে।

Advertisement

অন্য দিকে, বিচারক মঙ্গলবার শান্তিপ্রসাদকে প্রশ্ন করেন কেমন আছেন? শান্তি প্রসাদ বলেন, ‘‘ভালো নেই শরীর। হাঁটতে চলতে অসুবিধা। ৪০০ দিনে মাত্র পাঁচটা জেলার ইনভেস্টিগেশন পার্টলি কমপ্লিট করেছে সিবিআই। মানে সব শেষ হতে ৮-১০ বছর লেগে যাবে।’’

বিচারক তখন সিবিআই আইনজীবী বলেন, ‘‘চার্জশিটে থাকা বেশিরভাগ লোক বয়স্ক। ওঁদের অন্তত ট্রায়াল ফেস করতে দিন।’’ শান্তিপ্রসাদের আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, ‘‘কেন মেদিনীপুরে হচ্ছে না তদন্ত? ওখানকার লোককে কি পছন্দ? ‘পিক এন্ড চুজ’ করছে সিবিআই। সিবিআই পক্ষপাতদুষ্ট তদন্ত করছে।

জবাবে সিবিআই আইনজীবী বলেন, ‘‘সিবিআই অত্যন্ত ভালো কাজ করছে। সঠিক কাজ করছে। ইনি যা খুশি বলছেন। বলতে হলে লিখিত দিন। আমরা উত্তর দেব।’’ সেই সঙ্গে বলেন, ‘‘ধৃত সকলে অত্যন্ত প্রভাবশালী। এখনও যে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা বাকি আছে, সেগুলি জামিন দিলে নষ্ট করতে পারে। একটা ‘চেইন’ (পথ) ধরে তদন্ত এগোচ্ছে। আমরা জাম্প করে যেখানে-সেখানে যেতে পারি না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement