Rampurhat

Rampurhat Clash: অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি নয়, সাত চিকিৎসক নিয়ে বোর্ড গঠন রামপুরহাটে

মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত পাওয়া খবর, রামপুরহাটের ওই হাসপাতালের আইসিইউয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন নাজমা বিবি (৪০) ও আতাহারা বিবি (৫০)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২২ ০৮:৩৪
Share:

ফাইল চিত্র।

বীরভূমের বগটুই গ্রামের আগুনে দগ্ধ যে-সব রোগী রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন, তাঁদের চিকিৎসায় যাতে কোনও খামতি না-থাকে, সে-দিকে বাড়তি নজর দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে মঙ্গলবার ওই হাসপাতালেরই সাত চিকিৎসককে নিয়ে তৈরি হয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড। অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসায় প্রয়োজন অনুযায়ী ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে এসএসকেএম (পিজি) হাসপাতালের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন রামপুরহাটের চিকিৎসকেরা।

Advertisement

মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত পাওয়া খবর, রামপুরহাটের ওই হাসপাতালের আইসিইউয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন নাজমা বিবি (৪০) ও আতাহারা বিবি (৫০)। তাঁদের মধ্যে এক জনের শরীরের প্রায় ৬৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। ওই দু’জনের সঙ্গে ভর্তি হয়েছিল কিয়াম শেখ নামে ১৪ বছরের এক কিশোর। এ দিন বিকেলে সে আচমকাই হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। তার শরীরের খুব অল্প অংশই আগুনে ঝলসে গিয়েছিল।

স্বাস্থ্য সূত্রের খবর, প্রথমে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, অগ্নিদগ্ধ হয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে। পরে সেই সিদ্ধান্ত বদল করে ওই রোগীদের রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই রাখা হয়। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সন্ধ্যায় রামপুরহাট হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যেরা ভিডিয়ো সম্মেলনে পিজি-র প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকদের সঙ্গে চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করেন। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা রামপুরহাটেই দেওয়া সম্ভব হওয়ায় রোগীদের স্থানান্তরিত করার দরকার হচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। আইসিইউয়ে চিকিৎসাধীন রোগীদের চিকিৎসায় গড়া মেডিক্যাল বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে রামপুরহাট মেডিক্যালের শল্যচিকিৎসা বিভাগের প্রধান চিকিৎসক সিদ্ধার্থ বিশ্বাসকে। সঙ্গে রয়েছেন মেডিসিন, স্ত্রীরোগ, শল্যচিকিৎসা এবং অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের আরও ছ’জন চিকিৎসক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement