বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।
নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে ‘দিদি বলো’ কর্মসূচিতে গিয়ে ‘কাটমানি’র অভিযোগ শুনলেন বারুইপুর(পশ্চিম) বিধায়ক তথা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার হরিহরপুর পঞ্চায়েত এলাকার খাঁ-পাড়ায় জনসংযোগ বৈঠকে এই অভিযোগ শুনতে হয়েছে তাঁকে। তবে কর্মসূচিতে দলের থাকাকালীনই স্থানীয় নেতৃত্বকে টাকা ফেরানোর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন স্পিকার।
ওই কর্মসূচিতে আজেদ আলি মণ্ডল নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বিমানবাবুকে জানান, তিনি বছর খানেক আগে একটি টোটো কিনেছেন। মল্লিকপুর-বারুইপুর রুটে ওই টোটো চালাতে চাইছিলেন। ওই রুটে টোটো মালিক ও চালকদের সংগঠন তৃণমূল পরিচালিত। সেই সংগঠনেরই এক নেতা তাঁর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও তাঁকে টোটো চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। এমনকী ওই টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি। অভিযোগ শোনার পর বিমানবাবু বলেন, ‘‘আপনারা টাকা দিয়েছেন কেন? ওই টাকা দেওয়া উচিত হয়নি। বিষয়টি আমি দেখছি।’’ পরে বিমানবাবু বলেন, ‘‘আমাকে এলাকার বাসিন্দারা নানা সমস্যা নিয়ে তাঁদের বক্তব্য জানিয়েছেন। আমিও ওই সব কথা শুনেছি। এবং সব ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি। টোটো চালকের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমি তদন্ত করে দেখছি।’’ ওই সভা ছাড়ার আগে আগেই স্থানীয় নেতাদের বিমানবাবু বলে দেন, যে বা যাঁরা টাকা নিয়েছেন, তাঁদের টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে।
শুধু কাটমানি নয়। ওই এলাকার নিকাশি ও পানীয়জলের সমস্যা নিয়ে বিমানবাবুর সামনেই সরব হয়েছিলেন এলাকার বাসিন্দা। গত বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে সময় ওই এলাকায় নিকাশি সমস্যার সমাধান করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রায় তিন বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও ওই সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। তিনি বলেন, ‘‘নিকাশি সমস্যা থাকলে মানুষ নিশ্চই বলবেন। খোঁজ নিয়ে দেখছি ওই এলাকায় এই সমস্যা কেন। সমস্যা থাকলে তার সমাধানের দায়িত্ব নিশ্চই নিতে হবে।’’