মোর্চাকে বৈঠকে ডাকলেন স্পিকারও

পাহাড়ের তিন বিধায়ক অমর রাই, রোহিত শর্মা, সরিতা রাই এ দিন অবশ্য বিধানসভায় ভানুভক্তের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন। পরে মোর্চা নেতা রোশন গিরি বলেন, ‘‘স্পিকারের অনুরোধ এখনও সরকারি ভাবে আসেনি। এলে ভেবে দেখব।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৭ ০৩:২৪
Share:

বন্‌ধ প্রত্যাহার করে আলোচনার টেবিলে বসার জন্য আগে দু’দুবার পাহাড়ের নেতাদের আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই আবেদনে এখনও সদর্থক সাড়া মেলেনি। এ বার আলোচনায় সামিল হতে পাহাড়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার তিন বিধায়ককে আর এক দফা অনুরোধ জানালেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নেপালি কবি ভানুভক্তের জন্মদিনে বৃহস্পতিবার বিমানবাবু বিধানসভায় অলিন্দে বলেন, ‘‘পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সরকারের তরফে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। উনি বিধানসভার নেত্রী। তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে আলোচনায় বসার জন্য গোর্খা জনমুক্তির তিন বিধায়ককে অনুরোধ করছি।’’ এ দিন গোর্খা ভবনে ভানুভক্তের জন্মদিন অনুষ্ঠানের পরে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও বলেন, ‘‘বন্‌ধ প্রত্যাহার করে আলোচনায় আসুন। পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই যথেষ্ট। ওঁর উপর আস্থা রাখুন।’’

পাহাড়ের তিন বিধায়ক অমর রাই, রোহিত শর্মা, সরিতা রাই এ দিন অবশ্য বিধানসভায় ভানুভক্তের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন। পরে মোর্চা নেতা রোশন গিরি বলেন, ‘‘স্পিকারের অনুরোধ এখনও সরকারি ভাবে আসেনি। এলে ভেবে দেখব।’’

Advertisement

পাহাড় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সকলকে নিয়ে আলোচনায় বসার প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহও। কিন্তু পাহাড়ের দলগুলি এখনও রাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় বসার ব্যাপারে কোনও রকম উৎসাহ দেখায়নি। তাদের, বিশেষ করে মোর্চার দাবি, কথা হবে শুধু গোর্খাল্যান্ড নিয়ে। এবং তা-ও কেন্দ্রের সঙ্গে। পাহাড়ের কেউ কেউ বলছেন, যে ভাবে বর্ষার মধ্যে রসদে টান পড়েছে আম-পাহাড়বাসীর ঘরে, কোথাও আবার পানীয় জল বন্ধ, যাবতীয় অর্থনৈতিক কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পকেটেও টান পড়েছে বহু মানুষের, তাতে একটা কিছু আশার বার্তা চাইছেন পাহা়ড়ের নেতারা। মোর্চার দাবি, সেই বার্তা দিতে পারে শুধু কেন্দ্র। এ দিন সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে চিঠি লিখে দ্রুত ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকার দাবি জানিয়েছে।

কিন্তু ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে এখনই রাজি নয় রাজ্য। তাদের বক্তব্য, দার্জিলিং পশ্চিমবঙ্গের অংশ। তাই আলোচনা হোক দ্বিপাক্ষিক স্তরে। এমন বৈঠকে আবার নারাজ মোর্চা।

এই পরিস্থিতিতে এ দিন পাহাড় সম্পর্কে জানাতে নবান্নে আসেন দার্জিলিঙের বিশেষ দায়িত্বে থাকা এডিজি সিদ্ধিনাথ গুপ্ত। এর পরে মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি-র সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement