রুদ্রনীল ঘোষ ও জটু লাহিড়ী। —ফাইল চিত্র
কোনও দলই এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি। কিন্তু তার আগেই হাওড়ার শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের সম্ভাব্য দুই প্রার্থী জটু লাহিড়ী এবং রুদ্রনীল ঘোষের মধ্যে কাজিয়া চরমে। ক্রমাগত একে অন্যের বিরুদ্ধে তোপ দেগে চলেছেন। দুর্নীতির অভিযোগ থেকে কটাক্ষ, শ্লেষ চলছেই।
কয়েকদিন আগেই শিবপুরে কর্মিসভায় জটু লাহিড়ীর উদ্দেশে কটাক্ষ করে বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী রুদ্রনীল বলেছিলেন, ‘‘পৃথিবীর তিন ভাগ জল এক ভাগ স্থল, এটা ভুগোলে আছে। কিন্তু হাওড়ায় সেই ভূগোল উল্টে গিয়েছে। এখানে ৩ ভাগ তো দূর, এক ভাগও জল নেই। সব বুঁজে গিয়েছে। যেটুকু ফাঁকা আছে, তাও প্রমোটিং হয়ে যাচ্ছে কিছু বিধায়ক ও কাউন্সিলর-এর সৌজন্যে।’’ বিধায়কের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করে বলেন, ‘‘এলাকার রাম ঠাকুরের পুকুর চুরি করে নিয়েছেন জটুবাবু।’’
সোমবার ‘বাংলার মেয়ে মমতা’ কর্মসূচিতে রুদ্রনীলের অভিযোগ উড়িয়ে জটুর দাবি, তাঁর এলাকায় এলাকায় কোনও পুকুর ভরাট হয়নি। বরং বহু পুকুর ও জলাশয় রক্ষা করেছেন তিনি। রুদ্রনীলকে জোচ্চোর বলে কটাক্ষ করে শিবপুরের বিধায়কের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘হাওড়ার নরসিংহ দত্ত কলেজের টাকা তছরূপ করেছে এক সময় বামেদের সমর্থনে থাকা এই অভিনেতা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের থেকে ৩ লক্ষ টাকা করে নিয়েছে রুদ্রনীল। সরকার মহানুভবতা দেখিয়েছে। কিন্তু উনি কোনও কাজ করেননি।’’
শিবপুর কেন্দ্রে রুদ্রনীল বিপক্ষে প্রার্থী হলে তিনি কি হারাতে পারবেন রুদ্রনীলকে? এই প্রশ্নের উত্তরে জটু বলেন, ‘‘নিজের প্রতি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস আছে। মানুষ আমাকে ভালবাসেন, সমর্থন করেন। তাই আবার জিতব।’’ কারও নাম না করেও রুদ্রনীলের পাল্টা হুঁশিয়ারি, ‘‘তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন, এখনও সময় আছে। এমন কিছু করবেন না, যাতে সরকার বদলের পর মানুষ আপনাদের ঘৃণার চোখে দেখে।’’