ফাইল চিত্র।
প্রথমে ডায়মন্ড হারবার, পরে ভবানীপুর। বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার ডিসেম্বরের সফর সূচি ছিল এই রকমই। ভারত বন্ধের কারণে সেই সফর এক দিন পিছিয়ে যাওয়ায় অবশ্য ৯ ডিসেম্বর ভবানীপুরের পরে ১০ ডিসেম্বর ডায়মন্ড হারবারে কর্মসূচি হয় নড্ডার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এলাকা থেকে প্রচার শুরু করে শাসকদলকে বার্তা দিতে চেয়েছিলেন নড্ডা।
এ বার বিজেপিতে সদ্য সক্রিয় হওয়া কলকাতার প্রাক্তন মেয়রও নিজের প্রচার কর্মসূচি শুরু করছেন সেই ডায়মন্ড হারবার লোকসভা এলাকা দিয়ে। তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা আসনের অন্তর্গত বিষ্ণুপুর বিধানসভা কেন্দ্রেই শোভন-বৈশাখীর প্রথম জনসভা হবে আগামী ১৮ জানুয়ারি। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি তাঁর নতুন দলের সভাপতির দেখানো পথেই আক্রমণের অভিমুখ ঠিক করে নিয়েছেন শোভন? নীলবাড়ির লড়াইয়ে অভিষেককে অন্যতম প্রধান প্রতিপক্ষ ধরে নিয়েই প্রচার সূচি সাজালেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি?
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে নিজের জানুয়ারি মাসের কর্মসূচি ঘোষণার সময়ে শোভন বার বারই উল্লেখ করেন কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে তাঁর বড় ভূমিকা থাকত। তিনি জানান, সাতটি নির্বাচন করেছেন তিনি। ৩৩ বছর তৃণমূল নেতা হিসেবে তাঁর হাতেই ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩০ ও কলকাতার ১২টি মিলিয়ে মোট ৪২ কেন্দ্রের দায়িত্ব। সরাসরি না বললেও, এই এলাকায় তৃণমূলের জয়ের পিছনে যে তাঁর বড় ভূমিকা ছিল সেটা বার বার বুঝিয়ে দেন তিনি।
আরও পড়ুন: শোভন-বৈশাখীর প্রচারসূচিতে নেই বেহালা, আপাতত ব্রাত্যই নিজ-কানন
শোভন ডায়মন্ড হারবার দিয়ে প্রচার শুরু করলেও রাজ্য বিজেপি-র অনেক নেতারই বক্তব্য, ওই এলাকার সব ক’টি বিধানসভাই বিজেপি-র জন্য কঠিন লড়াই। বেশির ভাগ এলাকাই সংখ্যালঘু মুসলমান-প্রধান। গত লোকসভা নির্বাচনে সেখানে ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রেই পিছিয়েছিল বিজেপি। তবে শোভন জানান, তিনি হিন্দু-মুসলমান হিসেবে এলাকা ভাগ করতে চান না। মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষও এ বার বিজেপিকে ভোট দেবে বলেও দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে বিক্ষুব্ধ সাংসদ শতাব্দী, শনিবারবেলায় তাকিয়ে তৃণমূল